কলকাতা জীবিকার খোঁজখবর 

Librarian Post : সরকার অনুমোদিত লাইব্রেরীগুলোতে দ্রুত নিয়োগ হতে চলেছে লাইব্রেরিয়ান, কিভাবে এই পদে আবেদন করবেন? নিয়োগ প্রক্রিয়া কিভাবে হবে? কোন জেলায় কত শূন্য পদ? জানতে হলে ক্লিক করুন, ২৫ শে জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করতে চলেছে মমতা সরকার। রাজ্য সরকার অনুমোদিত সরকারি লাইব্রেরী গুলিতে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ শুরু হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। জানা গেছে আগামী ২৫ শে জুলাই এর মধ্যে এই রাজ্যে ৭৩৮ জন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আসলে রাজ্যের সরকার অনুমোদিত লাইব্রেরীগুলো কর্মীর অভাবে বন্ধের মুখে। কর্মীসংখ্যা ছিল না বললেই চলে। দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে সাধারণ গ্রন্থাগার ও কর্মী কল্যাণ সমিতি দাবি জানিয়ে আসছিল। কার্যত এই সংগঠনের দাবির কাছে শেষ পর্যন্ত সরকার মেনে নিতে বাধ্য হল কর্মী নিয়োগ করতে। সূত্রের খবর কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোটাই হবে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে। জেলাশাসক এর নেতৃত্বে কমিটি তৈরি হবে সেই কমিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখভাল করবে। নিয়োগের স্বচ্ছতা রক্ষা করার জন্য জেলার এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে নাম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জনশিক্ষা প্রসার ও লাইব্রেরি সার্ভিসেস দপ্তরের পক্ষে নিযুক্তি সংক্রান্ত নির্দেশনামা বৃহস্পতিবারই জেলাশাসকদের পাঠানো হয়েছে। আগামী ১০ মে’র মধ্যে নিয়োগ কমিটি গঠন করতে হবে বলে বলা হয়েছে। সেই সিলেকশন কমিটি গড়বে লোকাল লাইব্রেরি অথরিটি। এই অথরিটির শীর্ষে থাকেন জেলাশাসক। মেম্বার সেক্রেটারি ডিস্ট্রিক্ট লাইব্রেরি অফিসার। নিয়োগ হবে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে। লাইব্রেরি সায়েন্সে উত্তীর্ণ আবেদনকারীরা আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে। এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকেও নাম চেয়ে পাঠানো হবে। স্বচ্ছতা বজায় রেখে দ্রুত প্রক্রিয়া শেষ করতে বলা হয়েছে নবান্ন থেকে।

Advertisement

চাকরি সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া হবে ১৭ মে। এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে নাম গ্রহণের শেষ তারিখ ১০ জুন। ওইদিনই অনলাইন আবেদন জমা করার শেষ দিন। ইন্টারভিউ হবে ১৪ থেকে ১৮ জুলাই। আর তালিকা চূড়ান্ত হবে ২৫ জুলাই। শূন্যপদের তুলনায় অতিরিক্ত বেশি সংখ্যায় আবেদন এলে যত বেশি সংখ্যায় সম্ভব আবেদনকারীদের ইন্টারভিউয়ে ডাকতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইন্টারভিউয়ে কম্পিউটার ও বাংলার জ্ঞান যাচাই করা হবে। ফাইনাল প্যানেল এক বছরের জন্য গ্রাহ্য হবে। প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর গ্রামীণ লাইব্রেরির অন্তর্গত টাউন ও ব্লক লাইব্রেরিতে স্থায়ীপদে চাকরির দায়িত্ব নেবেন বাছাইরা।

জেলাওয়াড়ি হিসাবে সব থেকে বেশি নিয়োগ হবে উত্তর ২৪ পরগনায়, ৬০। এছাড়াও পূর্ব বর্ধমানে ৫৫, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫২ জন করে নিয়োগের কথা। কলকাতার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৪০। ২৩টি জেলার পাশাপাশি শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ মিলিয়ে মোট নিযুক্তি হবে ৭৩৮। অন্য জেলার মধ্যে আলিপুরদুয়ারে ৬, বাঁকুড়ায় ৩১, বীরভূমে ৩৮, পশ্চিম বর্ধমানে ২৩, কোচবিহারে ৩৪, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৪, দার্জিলিংয়ে (জিটিএ) ২১, হাওড়ায় ৩৬, জলপাইগুড়িতে ১৮, ঝাড়গ্রামে ১৭, মালদহে ২৯, মুর্শিদাবাদে ৩৬, নদিয়ায় ৩৭, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪০, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪৪, পুরুলিয়ায় ৩০ ও উত্তর দিনাজপুরে ১২টি শূন্যপদ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চার হাজারের বেশি শূন্যপদ বলে দাবি করেছিল বিভিন্ন সংগঠন। রাজ্যে ২৪৮০টি গ্রন্থাগারের মধ্যে হাজারখানেক লাইব্রেরি কর্মীর অভাবে ধুঁকছিল। অনেক ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারকর্মীরাই লাইব্রেরিয়ানের কাজ সামলাচ্ছিলেন।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ