অন্যান্য কলকাতা 

Aliah university Cricis, Exclusive Interview : আলিয়ার ছাত্রদের আন্দোলন করার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে, তবে মমতা সরকারের উচিত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা : ড. আবদুস সাত্তার

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

আলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এবার আন্দোলনের পথে । মূলত ৭/৮টি দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলনের পথে শিক্ষার্থীরা । আমরা এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ড. আবদুস সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম । তিনি এদিন আলিয়া নিয়ে বাংলার জনরব নিউজ পোর্টালকে সংক্ষিপ্ত একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তা আমরা তুলে ধরলাম ।

প্রশ্ন : শেষ পর্যন্ত আলিয়ার পড়ুয়ারা অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনের পথে গেল ? কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে ?

Advertisement

আবদুস সাত্তার : আন্দোলন করার অধিকার সকলেরই আছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করবে এটাই স্বাভাবিক । এটা তাদের সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার ।

প্রশ্ন : আপনারা মানে কংগ্রেস দল কী পড়ুয়াদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করে ?

আবদুস সাত্তার : সমর্থন-অসমর্থনের প্রশ্নই নেই । সংবিধান আন্দোলন করার অধিকার দিয়েছে , সেই অধিকার বলে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা ।তবে কংগ্রেস দলের অবস্থান পরিস্কার । আলিয়ার ছাত্রছাত্রীরা যেসব দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে তাকে আমরা সমর্থন করি ।

প্রশ্ন : আলিয়ার ছাত্রছাত্রীরা বলছেন, রক্ত নিলে রক্ত নাও , জমি আমাদের ফিরিয়ে দাও ? জমি দেওয়া যাবে না এই আন্দোলনকে কতটা সমর্থন করেন?

আবদুস সাত্তার : আলিয়ার জমি কেন নেওয়া হচ্ছে এটাই বড় প্রশ্ন ! বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি থাকবে না !

প্রশ্ন : জাতীয় স্বার্থে মেডিকেল কলেজের জন্য দেড় বিঘে জমি নেওয়া হচ্ছে ? এতে কেন আপত্তি ?

আবদুস সাত্তার : জমি নেওয়ার যৌক্তিকতা আমরা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবা যাদবপুরের অনেক ভাল জমি আছে তা কী সরকার নিতে পারবে ? এই রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুহাত ভরে আর্শীবাদ করেছে তার ফল যদি এটা হয় তাহলে মানুষ বিচার করবে !

প্রশ্ন : আলিয়ার ছাত্রদের অভিযোগ WBCS কোচিং সেন্টারটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরিয়ে সংখ্যালঘু দফতরের একটি শাখাকে দেওয়া হয়েছে, এটা কী সঠিক সিদ্ধান্ত ?

আবদুস সাত্তার : রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমার বলার কিছু নেই । কিন্ত আলিয়ার ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে বলতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পরিকাঠামো রয়েছে প্রতিযোগিতা পরীক্ষার জন্য প্রস্ততি নেওয়ার সেটা অন্য কোনো সংস্থা পারবে না । তবে অন্য কোনো সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে আপত্তি নেই , আলিয়ার কাছ থেকে কেড়ে অন্যকে দেওয়া অনুচিত । আর এই দাবিতে যদি পড়ুয়ারা আন্দোলন করে তবে সেই আন্দোলন সমর্থনযোগ্য ।

এক্ষেত্রে একটা কথা বলা যেতে পারে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আইএএস আইপিএস পরীক্ষার ট্রেনিং দেওয়ার জন্য একটা উন্নতমানের কোচিং সেন্টার রয়েছে, যেখান থেকে প্রতি বছর এই পদে চাকরি পাচ্ছেন মুসলিম ছেলেমেয়েরা । বর্তমানে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি ভিসি আছেন তিনি বহুবার কলকাতায় এসেছেন মাদ্রাসা বোর্ডের আমন্ত্রণে । তিনি এই রাজ্যের মুসলিমদের শিক্ষা কাঠামো সম্পর্কে অবগত আছেন, তাই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি জামিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে WBCS/IAS/IPS সহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার জন্য কোচিং সেন্টার খোলে তাহলে তা এই রাজ্যের সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদের জন্য নয়া দিগন্ত খুলে যাবে । সংখ্যালঘু সমাজে যুগান্তর আসবে ।

প্রশ্ন : আলিয়ার সমস্যা তো আলাপ- আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে নেওয়া যেত না কি ?

আবদুস সাত্তার : সেটা বলা যাবে না । আসলে সমস্যাটা কোথায় রয়েছে সেটা না জানলে এভাবে বলা যায় না । তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সরকার একটু নমনীয় হলে সমস্যাটার সমাধান আগেই হয়ে যেত । একথা বলতে আপত্তি নেই আলিয়ার সমস্যার সমাধান দেরি হলে রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজে প্রভাব পড়বে । কারণ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজের আবেগ জড়িত আছে ।

@ বাংলার জনরব, সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বুলবুল চৌধুরী।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ