দেশ 

শর্টস পরে পরীক্ষা দিতে এসে তরুণীকে পরীক্ষকের ধমক খেতে হল, এতেই নাকি চরম অপমানিত মেয়েটি !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন এক ছাত্রী পড়েছিলেন গেঞ্জি আর শর্টস। আর এতেই আপত্তি তোলেন পরীক্ষক তাই বাধ্য হয়ে পর্দার কাপড় দিয়ে পার্টিকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হলেন অসমের এক তরুণী। ওই তরুণী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল পড়েছিলেন গেঞ্জি আর শর্টস। পরীক্ষকের আপত্তিতে নাকি চরম অপমানিত হয়েছে ওই তরুণী।

গত বুধবার অসমের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল। তেজপুরের বিশ্বনাথ চরিয়ালের বাসিন্দা এক তরুণী তাতে অংশ নেন। গিরিজানন্দ চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেসে সিট পড়েছিল তাঁর। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বাবার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। ‘দোষ’ একটাই শর্টস (Shorts) পরে গিয়েছিলেন ওই তরুণী।

Advertisement

পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষা করেন এক নিরাপত্তারক্ষী। তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে কোনওরকম বাধা দেননি। তাই খুব সহজেই পৌঁছে যান পরীক্ষাকেন্দ্রে। তবে পরীক্ষার হলে ঢুকতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। অভিযোগ, পরীক্ষক তাঁর শর্টস নিয়ে আপত্তি করেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ওই পোশাকে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। তরুণীর দাবি, অ্যাডমিট কার্ডে নির্দিষ্ট করে কোনও পোশাকের কথা উল্লেখ ছিল না। তাই তিনি শর্টস পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হন। তাই পরীক্ষকের সঙ্গে কার্যত বচসায় জড়িয়ে পড়েন তরুণী।

এরপর শর্তসাপেক্ষে তরুণীকে পরীক্ষায় বসতে দিতে রাজি হন পরীক্ষক। তিনি জানান, পা ঢাকা প্যান্ট পরলে তবেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে। বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি পরীক্ষাকেন্দ্রের আশেপাশে পোশাকের দোকান খুঁজতে বেরোন ওই ব্যক্তি। তবে মেয়ের জন্য প্যান্ট পাননি তিনি। ফিরে আসার পর পরীক্ষক জানান পর্দার কাপড় পায়ে ঢেকেই বসে পরীক্ষা দিতে পারেন তরুণী। তাঁর দাবি, পোশাক নিয়ে ওই পরীক্ষক ফতোয়া জারি করেছেন ঠিকই। তরুণীর আক্ষেপ, করোনা পরিস্থিতিতে কোনও পড়ুয়া মাস্ক পরেছেন কিনা, তা নিয়ে সামান্যও মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি পরীক্ষককে। অথচ শর্টস নিয়ে রীতিমতো তাঁকে অপমান করা হয়। ছেলেরা শুধুমাত্র গেঞ্জি পরলে কোনও আপত্তি তোলা হয় না। তা সত্ত্বেও মেয়েদের ক্ষেত্রে কেন এত বিধিনিষেধ, তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। ( সৌজন্যে ডিজিটাল সংবাদ প্রতিদিন)

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ