অসমে গণবিক্ষোভ অব্যাহত ; ইস্তফা দিচ্ছেন বিজেপির নেতারাও , ক্যাব আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে অগপ ; নোটবন্দীর মতো ক্যাবেও ফেল করল মোদী সরকার !
বাংলার জনরব ডেস্ক : একেই বলেই নিয়তি ! মূলত অসমের এনআরসির ব্যর্থতাকে চাপা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তৈরি করল তৎপরতার সঙ্গে । যাতে বিক্ষোভ খুব বেশি না বাড়ে । যাতে হিন্দু ভোট বিজেপির পক্ষে থাকে । আর এই আইন তৈরিতে সঙ্গে ছিল অসম গণপরিষদ নামে এক রাজনৈতিক দল । যারা দীর্ঘদিন ধরে অহমীয়াদের জাতিসত্ত্বা নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। কিন্ত ঢাকঢোল পিটিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করল বিজেপি । কিন্ত তাতেও অসম যে এভাবে তেতে উঠবে তা ভেবে উঠতে পারেননি অমিত শাহ । তাই আমার মনে হচ্ছে ক্যাব আইন বাতিলের পথে এগিয়ে যাচ্ছে । যেমন আজ অমিত শাহকে বলতে হচ্ছে অসমের এনআরসিতে ভুল ছিল তাই তা বাতিল করতে হবে । তাহলে প্রশ্ন উঠছে জণগনের ১৬০০ কোটি টাকা খরচ করে এনআরসি কেন করা হল ?
যাইহোক গত বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে অগপ যে বিলকে সমর্থন করেছিল বৃহস্পতিবার তা আইনে পরিণত হওয়ার অসমের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় । ফলে অগপ নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্বের স্বার্থেই ক্যাব আইন বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বলে জানা গেছে ।
শনিবার এই দলের নেতা–মন্ত্রীদের মধ্যে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই স্থির হয় যে, তাঁরা নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেবে এবং তার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। এই দলের নেতা–মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করারও পরিকল্পনাও করেছেন।
বৃহস্পতিবারের পর থেকে অসমের পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তার জেরে অনেকেই দলের উচ্চস্তরের নেতাদের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেন। তাঁরা আম জনতার মনোভাব তাঁরা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন, এই বলে ইতিমধ্যে দল থেকে ইস্তফাও দিয়েছেন অনেকেই।
বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা জগদীশ ভুঁইয়া, যিনি আবার অসম পেট্রোকেমিকেল লিমিটেডের চেয়ারম্যানও, গত শুক্রবার দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। অসমের সুপারস্টার যতীন বরা বৃহস্পতিবারই বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ২০১৪ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ইস্তফা দেওয়ার কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “সিএবি আমি সমর্থন করি না। অসমের সাধারণ মানুষই আমাকে যতীন বরা করে তুলেছেন, এই বিষয়ে আমি তাঁদের সঙ্গেই রয়েছি।” কিছু দিন আগে রবি শর্মা নামে অসমের অন্য এক অভিনেতাও এই একই ইস্যুতে বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।