দেশ 

মোদী-শাহ-র ক্ষমতাকে মসৃণ করার জন্যই রামলালকে নাগপুর পাঠানো হল কি ? দীর্ঘদিন সংগঠনের দায়িত্বে থাকার পর কেন সরানো হল রামলালকে জানতে চান ? ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : বিজেপি দলে বড় পরিবর্তন হল । বিজেপির সাংগঠনিক সাধারন সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে রামলালকে নিয়ে যাওয়া হল আরএসএসে। রামলালের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন  ভি সতীশ যিনি বিজেপি দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। দলের নিয়ম অনুযায়ী রামলালকে সরতেই হত । কিন্ত তাকে কেন বিজেপি থেকে সরিয়ে সংঘে নিয়ে যাওয়া হল সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন , দলের সভাপতি অমিত শাহ-র সঙ্গে অনেক বিষয়ে সরাসরি মতভেদ দেখা দিয়েছিল রামলালের । সেই কারণেই অমিত শাহের ইচ্ছায় রামলালকে সঙ্ঘে ফেরত পাঠানো হল ।

দ্বিতীয়ত, রামলাল সঙ্ঘে ফেরায় কাটল বিজেপির অন্দরের সাংগঠনিক অস্বস্তিও। জে পি নাড্ডা দলের কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন সম্প্রতি। অর্থাৎ রামলাল যে পদে ছিলেন, নাড্ডা তার উপরের পদে চলে গিয়েছেন। কিন্তু সংগঠনে নাড্ডার চেয়ে রামলাল অনেকটাই সিনিয়র। এ হেন নাড্ডাকে রিপোর্ট করবেন রামলাল, এমনটা রামলালের পক্ষে খুব একটা সম্মানজনক হচ্ছিল না। তাই নাড্ডা কার্যকরী সভাপতি হওয়া মাত্রই রামলালের জন্য সম্মানজনক পুনর্বাসনের কথা ভাবা শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে।

Advertisement

তবে ঠিক উল্টো একটা ব্যাখ্যাও বিজেপির-ই অন্য একটি অংশ সূত্রে সামনে আসছে। মোদী-শাহ জুটি দলের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠার অনেকটা আগে থেকেই রামলাল সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে ছিলেন। ফলে সংগঠনের উপরে রামলালের কর্তৃত্বও খুব একটা কম ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয় বার বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পরে মোদী-শাহ জুটি নিজেদের নীতি ও কার্যপদ্ধতির রূপায়ণের পথে আর কোনও অঙ্কুশ রাখতে চাইছেন না বলে বিজেপির ওই অংশটির মত। ১৩ বছর ধরে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে থেকে দলে বিপুল প্রভাবশালী হয়ে ওঠা রামলাল কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেই অঙ্কুশটাই হয়ে উঠতে পারতেন। তাই বিজেপি নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, রামলালকে সঙ্ঘে ফেরত পাঠিয়ে মোদী-শাহ জুটি নিজেদের কার্যপ্রণালীতে কারও হস্তক্ষেপের অবকাশ প্রায় নির্মূল করে ফেলতে চাইলেন।

রামলালেরর পর ভি সতীশ এ বার সহ-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদ থেকে প্রমোশন পেয়ে রামলালের জায়গায় আসতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। আর এক সহ-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিব প্রকাশের নামও ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু সিনিয়র হওয়ার সুবাদে সতীশ-ই এগিয়ে বলে খবর।

ভি সতীশ বেশ কয়েক বছর পশ্চিমবঙ্গের আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির পর্যবেক্ষক ছিলেন । তাই তিনি দলের সাধারন সম্পাদক হলে বাংলার বিজেপি দলের পক্ষে আরও ভাল হবে বলে রাজনৈতিক মহল আশা করছে।

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

13 − six =