কলকাতা 

মুকুলের নির্বাচনী ম্যানেজমেন্টে কুপোকাৎ তৃণমূল !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : দেশের গেরুয়া ঝড় ! মমতার রাজ্যেও বিস্তার করেছে । হয়তো বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না , অনেকের মনেই । কিন্ত গেরুয়া ঝড়ে বেসামাল তৃণমূল । কিন্ত এত তাড়াতাড়ি কীভাবে তৃণমূলের সাম্রাজ্যে ধস নামল তা বোঝা গেল না । তৃণমূলের অন্দরে তীব্র অসন্তোষই কী তৃণমূল সাম্রাজ্যে ধসের নেপথ্যের কারণ ।

আসলে মুকুল রায়ের তৃণমূল ত্যাগের কারণেই এই অবস্থা । সারা দেশে বিজেপির জয়ের নেপথ্যে অমিত শাহের মত রাজনীতিবিদের অবদান যেমন আছে ঠিক তেমনই খোদ রাজ্যে বিজেপি অপ্রত্যাশিতের ফলের পেছনে রয়েছে মুকুল রায় । মুকুল রায় না থাকলে বিজেপির পক্ষে ৫টি আসন পাওয়া কঠিন ছিল । মুকুলের ক্ষুরধার বুদ্ধি নির্বাচনী ম্যানেজমেন্টকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য তৈরি করেছেন ।

Advertisement

অথচ রাজ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া ইস্তক দলের অন্দরে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। দলের শাসক গোষ্ঠীর কাছে দীর্ঘ দিন তিনি ‘গ্রহণযোগ্য’ ছিলেন না। দু’একটি উপনির্বাচনে তাঁর অঙ্ক মেলেনি বলেও অভিযোগ হজম করতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে সকলেই কার্যত তাঁকে ‘চাণক্য’ বলে মেনে নিচ্ছেন। স্বীকার করছেন, মুকুল রায়ের অঙ্ক কাজ করেছে।

কী সেই অঙ্ক? মুকুলবাবুর কথায়, ‘‘তৃণমূলের একটা বড় অংশকে আড়ালে বিজেপির মেশিনারি হিসেবে ব্যবহার করাই ছিল চ্যালেঞ্জ। তারা বাইরে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে থাকলেও ভিতরে বিজেপির জন্য কাজ করেছে। এ বার কাজ হল, তৃণমূলের সেই নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্যে নিয়ে আসা এবং বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো। যাতে ২০২১ সালের আগেই তৃণমূলের সরকার ফেলে দেওয়া যায়।’’

বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্য বিজেপির দফতরে শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন। জয়ের দুই মূল ‘কাণ্ডারি’ দিলীপবাবু এবং মুকুলবাবু কি পুরস্কৃত হবেন? সে ক্ষেত্রে কি বদলাবে রাজ্য দলের সংগঠনের চেহারা? সাংসদ দিলীপ কি মন্ত্রিত্ব পাবেন দিল্লিতে? মুকুলবাবুকেও রাজ্যসভায় নিয়ে গিয়ে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হতে পারে বলে দলেরই এক অংশের ধারণা। সে ক্ষেত্রে নতুন রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা নিয়েও রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে।

মুকুলবাবু অবশ্য এ সব নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি এ সবে আগ্রহী নই। বরং বিজেপির সংগঠন যাতে আরও মজবুত করা যায়, তা নিয়েই পরিশ্রম করতে চাই। লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূলের সরকার ফেলে দেওয়া। ফলে এই মুহূর্তে সংগঠনের বাইরে অন্য কিছু ভাবছি না।’’

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

three × four =