আলিগড় থেকে এবার সরিয়ে দেওয়া হল প্রতিষ্ঠাতার ছবি
বাংলার জনরব ডেস্কঃ অবিভক্ত ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের নবজাগরণের অগ্রদূত স্যার সৈয়দ আহমদের প্রতিকৃতি সরানোর এবার অভিযোগ উঠল । জানা গেছে,গত বুধবার হঠাৎই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহমদ খানের প্রতিকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থাকা পূর্ত দফতরের গেষ্ট থেকে উধাও হয়ে গেছে। এই সরকারি অতিথি শালায় মহাত্মা গান্ধী ,বি.আর.আম্বেদকর,লালবাহাদুর শাস্ত্রীর প্রতিকৃতির পাশে স্যার সৈয়দ আহমদ খানের ছবি ছিল।কয়েক মাস আগে থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতারা দাবি করছিলেন সরকারি ভবন থেকে স্যার সৈয়দ আহমদ খানের ছবি সরিয়ে নিয়ে,এখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবি আলিগড়ের এই সরকারি ভবনে টাঙাতে হবে। উল্লেখ্য, পূর্ত দফতরের গেষ্ট হাউসে বহুদিন থেকেই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার প্রতিকৃতি ছিল। এর আগে বাজপেয়ী সরকারের আমলেও কেউ কিংবা রাজনাথ সিংহ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়েও কেউ সরকারি ভবন থেকে স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের ছবি সরিয়ে ফেলার কথা বলেনি।
এদিকে জানা গেছে,বুধবার আলিগড়ের এই সরকারি অতিথি শালার নিরাপত্তা রক্ষীরা যখন বাইরে খেতে যান ,ঠিক সেই কে কারা এই ছবিটি সরিয়ে দেয়। দেখা গেছে,শুধুমাত্র স্যার সৈয়দ আহমদ খানেরই ছবি সরানো হয়েছে,অন্য ছবিগুলি অক্ষত আছে। এ থেকে পরিস্কার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এবং রাজনৈতিক লক্ষ্যেই আলিগড়ের প্রতিষ্ঠাতার ছবি সরানো হয়েছে। কে বা কারা এই কুকর্ম করেছে সে ব্যাপারে গেষ্ট হাউসের নিরাপত্তা রক্ষীরা কিছু জানেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।দেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের প্রতি অপমান সূচক এই কাজটি কারা করল তাদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। একজন শিক্ষাব্রতী কিংবা সমাজসেবী রাজনীতিবিদদের চেয়ে বেশি সম্মানের অধিকারি এটা জানা সত্ত্বে স্যার সৈয়দ আহমদের প্রতি এই মানসিকতা নিশ্চয় দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।
কেন্দ্রের বর্তমান সরকার দেশের জন্য মঙ্গল জনক কিছুই করতে পারে না।
এরা অপরাধীদের খুঁজে বের করবে এই আশা বৃথা।