স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় কোনও হস্তক্ষেপে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় কোনও হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আবেদন খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। শিক্ষক নিয়োগের মতো গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও যাতে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন ‘যোগ্য’ শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। সোমবার তাঁদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
মামলাকারী ‘যোগ্য’ শিক্ষাকর্মীদের আর্জি ছিল, দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক। শিক্ষক নিয়োগের মতো এ ক্ষেত্রেও সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান তাঁরা। মামলাকারীদের বক্তব্য, অন্যথায় নিয়োগ নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না তাঁরা। সোমবার ওই মামলা শুনানির জন্য উঠলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি অলোক আরাধের বেঞ্চে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, মূল মামলায় রায় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তার পরেও কেন বার বার আবেদন করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট সোমবার বলে, “কোনও অতিরিক্ত মামলার আবেদন শোনা হবে না। আমরা পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছি। এই অবস্থায় বার বার একই বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা?” তখন মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী সওয়াল করেন, শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষাকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে দেরি করেছে। নিয়োগ নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় আবেদনের শুনানি হোক। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। আদালত মামলাকারীদের উদ্দেশে জানায়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হলে নতুন কোনও বিষয়ে মামলা করা যেতে পারে। দুই বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, “সেই স্বাধীনতা দিচ্ছি। তবে এই আদালত মামলা শুনবে না। আগে হাই কোর্টে যান। কিন্তু অতিরিক্ত আবেদনের শুনানি হবে না”।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল হয়ে গিয়েছে। গত এপ্রিলের এক রায়ে সুুপ্রিম কোর্ট এসএসসির নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। ওই সময়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যাঁরা ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ (দাগি) নন, তেমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন।
