ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করলো, আমেরিকার চাপে কি?
বাংলার জনরব ডেস্ক : রাশিয়ান ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ প্রচার করা হয় যে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প অবিলম্বে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাতের ইতি ঘটাতে নির্দেশ দিয়েছেন। দুপুর থেকেই এই খবর আমাদের কাছে আসতে থাকে কিন্তু তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি ওই জন্য আমরা এটা প্রচারে আনতে চাইনি। কিন্তু দেখা গেল কিছুক্ষণ আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে দেশের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রি জানিয়ে দিলেন যে দুপক্ষের সঙ্গে কথার ভিত্তিতে আপাতত যুদ্ধ বিরতি হয়েছে। এই যুদ্ধ বিরতির শর্ত কি কেন যুদ্ধ বিরোধী কোন পথে সমাধান হলো সেসব কিছুই বেরিয়ে আসেনি। যা হলো এক কথায় তা বলতে হয় যে আমেরিকার চাপে ভারতকে পিছু হটতে হলো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার দাবি করেছিলেন,‘অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ে গিয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান’।
নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমেরিকার মধ্যস্থতায় রাতভর (আমেরিকার হিসাবে) আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, যে ভারত এবং পাকিস্তান অবিলম্বে পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’’
এর পরেই ভারত এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘‘বাস্তবজ্ঞান এবং অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার সদ্ব্যবহার করার জন্য দুই দেশকে অভিনন্দন। এই বিষয়ে (যুদ্ধবিরতি) মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ!’’ পাক উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইশাক দারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ ঐকমত্যের কথা জানিয়েছেন।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিয়ো শনিবার যুদ্ধবিরতি কথা জানিয়ে এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘‘ভান্স (মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট) এবং আমি গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শাহবাজ শরিফ, ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং আসিম মালিক (আইএসআই প্রধান)-সহ ঊর্ধ্বতন ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’’ তারই পরিণতিতে সংঘর্ষবিরতি হয়েছে বলে জানান তিনি।’’
কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে যুদ্ধ বিরতি হবে সেই যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা কেন করবে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি? জহরলাল নেহেরু থেকে শুরু করে ইন্দিরা গান্ধী পর্যন্ত কেউ কোনদিন আমেরিকার দাদাগিরি পছন্দ করেনি বরং বারবার বলেছে আমাদের দুই দেশের সমস্যা আমরা দুই দেশ মিলে মিটিয়ে নেব। বাইরের কোন দেশকে আমাদের দরকার হবে না। ১৯৭১ সাল যা করতে পারেনি 2025 সালে ৫৬ ইঞ্চির নীরবে করে দিলেন। ভারত পাকিস্তান মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিষ্পত্তি ঘটল। একই সঙ্গে এটাও স্বীকার করতে হবে সমস্যার কিন্তু সমাধান হয়নি আমরা চেয়েছিলাম দক্ষিণ এশিয়া থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে সন্ত্রাসবাদের জনক পাকিস্তানকে ছবক শেখাতে সেটা আমরা পারিনি কারণ আমেরিকা আমাদের করতে দেয়নি।
