আন্তর্জাতিক 

ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরিয়ে পূর্ব আফ্রিকায় পুনর্বাসন দেওয়ার উদ্যোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : গাজাতে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের ওই এলাকা থেকে উচ্ছেদ করে পূর্ব আফ্রিকার তিনটি দেশে পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) এপি জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল গত মাসে সুদান, সোমালিয়া এবং তার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডের সরকারের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

Advertisement

গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাগ্রহণের পরই ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা ‘দখল’ করে সেখানে মধ্যপ্রাচ্যের ‘রিভেরা’ নির্মাণ করবেন এবং ফিলিস্তিনিদের উপত্যকাটি থেকে বহিষ্কার করবেন। তার ঘোষণার পর মিশর গাজার পুনর্গঠনের জন্য একটি বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি করে যাতে আরব নেতারা সম্মতি জানিয়েছেন।

৫৩ বিলিয়ন ডলারের মিশরীয় পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতিকে প্রত্যাখ্যান করে এবং এটিকে জনশূন্য না করে পুনর্নির্মাণের ওপর জোর দেয়।

তবে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে তাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসা ইঙ্গিত দেন। আইরিশ নেতা মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে এক বৈঠকে তাকে (ট্রাম্প) এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, ‘কেউ গাজা থেকে কোনও ফিলিস্তিনিকে বহিষ্কার করছে না। ’

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে আরব সরকার কর্তৃক তাদের বাস্তুচ্যুতি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যানের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আরও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

তবে সোমালিয়া এবং সোমালিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তাদের দেশে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইলের কাছ থেকে কোনও প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

সোমালিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ মোয়ালিম ফিকির বলেছেন, তার দেশ যে কোনও পক্ষের কাছ থেকে এমন কোনও প্রস্তাব বা উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছে যা ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের পূর্বপুরুষের ভূমিতে শান্তিতে বসবাসের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে।

একজন ঊর্ধ্বতন সুদানী কর্মকর্তাও এরকম কোনও প্রস্তাব পাওয়ার কথা অস্বীকার করে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এই ধরনের পরিকল্পনা অগ্রহণযোগ্য। ’


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ