হরিয়ানার কংগ্রেস নেত্রী হিমানী নরওয়াল খুনে গ্রেফতার যুবক
বাংলার জনরব ডেস্ক : হরিয়ানার কংগ্রেস নেত্রী হিমানী নরওয়ালকে খুনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রোহতকের সাম্পলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে হাইওয়ের ধার থেকে নীলরঙা একটি ট্রলিব্যাগ থেকে হিমানীর দেহ উদ্ধার হয়। তার পরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনার দু’দিন পরে অবশেষে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেন।
সোমবার হরিয়ানা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার গভীর রাতে দিল্লি থেকে দু’জন যুবককে আটক করে হরিয়ানার রোহতকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এক জনকে গ্রেফতার করা হয় আর অপর জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
‘ইন্ডিয়া টুডে’ পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ধৃত যুবকের সঙ্গে হিমানীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হিমানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই যুবককে ব্ল্যাকমেল করে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। সেই রাগেই ওই কংগ্রেস নেত্রীকে খুন করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। যে ট্রলিব্যাগ থেকে হিমানীর দেহ উদ্ধার উদ্ধার হয়, সেটি কংগ্রেস নেত্রীর বাড়ি থেকেই নেওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। এই সূত্রেই তদন্তকারীদের অনুমান, হিমানীকে তাঁর নিজের বাড়িতেই খুন করা হয়েছে।
হিমানীর মা সবিতা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “আমি নিশ্চিত অভিযুক্ত পরিচিত কেউ। তিনি হয় দলের কেউ, অথবা তিনি আমাদের আত্মীয়। হিমানীর বন্ধুও কেউ হতে পারেন। কারণ তাঁরাই বাড়িতে আসতে পারেন। আমি নিশ্চিত কেউ আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কিছু করতে চেয়েছিল। তাই মেয়ে প্রতিবাদ করে। আর সেই কারণেই এই ঘটনা। অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়ার দাবিও তুলেছেন হিমানীর মা। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হত্যার আগে হিমানীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁর হাড়গোড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। গলায় স্কার্ফ জড়ানো ছিল হিমানীর। এটা থেকে পুলিশের সন্দেহ শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে।
হিমানী হরিয়ানার কংগ্রেস নেত্রী। সে রাজ্যে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় রাহুল গান্ধীর সঙ্গী ছিলেন তিনি। কংগ্রেসের একটি সূত্রের দাবি, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র এবং তাঁর পুত্র দীপেন্দ্র হুডার ঘনিষ্ঠ ছিলেন ওই তরুণী। হরিয়ানার প্রদেশ কংগ্রেসে সভাপতি ভূপেন্দ্র সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘হিমানী নরওয়াল নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার উচ্চ পর্যায় এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” সৌজন্যে ডিজিটাল আনন্দবাজার।