জেলা 

স্বামীর কিডনি বিক্রির দশ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন স্ত্রী! বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ স্বামী, কী বলল হাইকোর্ট?

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি: মেয়ের পড়াশোনা এবং বিয়ের খরচ জোগাতে হবে আগে থেকে গয়নাগাটি তৈরি করে রাখতে হবে এসব কথা বলে স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে উৎসাহিত করেছিলেন স্ত্রী। কথামতো সাবি সংসারের অভাবের কথা বিবেচনা করে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে কিডনি বিক্রি করতে রাজি হয়ে যান। কিডনি বিক্রি করার পর সেখান থেকে পাওয়া ১০ লক্ষ টাকা এবং গয়নাকাটি নিয়ে কিছুদিন পরেই স্ত্রী প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই অভাবনীয় অপ্রত্যাশিত মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া জেলার সাঁকরাইল থানার ধূলাগড় এলাকায়। আর স্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে এবার আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন স্বামী পিন্টু বেজ। কলকাতা হাইকোর্টের কাছে হেবিয়াস কার্পাসে মামলা দায়ের করেছেন তিনি কিন্তু তদন্তকারী অফিসারদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর। এই মামলা খারিজ করে দিয়েছেন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

আদালত সূত্রে খবর, স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ায় পর প্রথমে থানায় গিয়েছিলেন হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের ধুলাগড়ি হাটতলা এলাকার বাসিন্দা পিন্টু বেজ। এর পরে হাই কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেছিলেন তিনি। বছর ঊনচল্লিশের যুবক আদালতে জানিয়েছিলেন, মেয়ের পড়াশোনা আর বিয়ের জন্য টাকার ব্যবস্থা করতে এখন থেকেই সোনার গয়না বানিয়ে রাখতে চাইছিলেন স্ত্রী সুপর্ণা বেজ। এর জন্য বার বার তাঁকে কিডনিও বিক্রি করতে বলতেন। স্ত্রীর কথা শুনেই কিডনি বিক্রি করেছিলেন যুবক। পরে সেই কিডনি বিক্রির ১০ লাখ টাকা আর সোনার গয়না নিয়ে সুপর্ণা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পিন্টু।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে পিন্টু বলেন, ‘‘হঠাৎ এক দিন নিখোঁজ হয়ে গেল স্ত্রী। আর ফিরল না। পরে দেখলাম ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে।’’

যুবক হেবিয়াস কর্পাস মামলা করায় স্ত্রীকে খুঁজে এনে আদালতে হাজির করানোর দায়িত্ব ছিল পুলিশের। কিন্তু পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তকারীদের কাছে আগেই সুপর্ণা লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন। তাঁর প্রেমিক এবং তিনি এখন স্বামী–স্ত্রীর মতো থাকছেন। কেউ তাঁকে জোর করে কিছু করাননি।

পুলিশের দেওয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ২৭ জানুয়ারি সোমবার হেবিয়াস কর্পাস মামলাটি খারিজ করে দেয়। আদালতের বক্তব্য, যে হেতু মহিলার হদিস পাওয়া গিয়েছে এবং তিনি স্বেচ্ছায় স্বামীকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন, তাই এ ক্ষেত্রে আর হেভিয়াস কর্পাসের আবেদন কার্যকর হবে না।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ