সাহিত্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন বাংলার জনরবের
সংবাদদাতা, বাংলার জনরব: গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ সন্ধ্যায় বাংলার জনরবের মাসিক ভার্চুয়াল সাহিত্য অনুষ্ঠানে গানে, কথায়, কবিতায় সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস।
এই মহতী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট সাহিত্যিক সিরাজুল ইসলাম ঢালী, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও বাচিক শিল্পী তনুশ্রী দে, বীরভূমের বিশিষ্ট কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ মানিক হাজরা এবং বিশিষ্ট কবি কবিতা সেন। অনুষ্ঠানের সূচনায় নিউজ পোর্টাল বাংলার জনরবের সম্মানীয় সম্পাদক সেখ ইবাদুল ইসলাম অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যায় ২৬ জানুয়ারির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন। এরপর অতিথি মানিক হাজরা তাঁর স্বরচিত সুরারোপিত সঙ্গীত ‘ ভারত আমার মাতৃভূমি তাই মাকে এত ভালবাসি’ পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। সংগীতের পাশাপাশি তিনি একটি স্বরচিত কবিতাও পাঠ করেন। মূলত সংগীত শিল্পী হয়েও তনুশ্রী দে এদিন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দেমাতরম’ সংগীতের সুরের আবেশে দেশ বন্দনার আবহে পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী “ভারততীর্থ’ কবিতার আবৃত্তি।
সাহিত্যিক সিরাজুল ইসলাম ঢালী একজন নিবেদিত প্রাণ সাহিত্যিক। তিনি পেশায় চিকিৎসক হয়েও নেশায় একজন আদ্যপান্ত সাহিত্যিক। তিনি এদিন সন্ধ্যায় তাঁর কথায় সবার কাছে অনুরোধ রাখেন আপনারা যে যাই পেশার সাথে যুক্ত থাকুন না কেন, শত কাজের মাঝে একটু বাংলা সাহিত্য চর্চা করবেন। তাতে নিজেকে যেমন তৃপ্ত রাখা যাবে তেমনি সমাজকেও লেখনির মাধ্যমে সমৃদ্ধ করা যাবে। তিনি আরোও বলেন মানুষ তাঁর কর্মজীবনে যাই করুকনা কেন, মৃত্যুর পর তার অস্তিত্ব কিছুই থাকে না। কিন্তু কেউ যদি সাহিত্য রচনা করে যান তা মানুষের মাঝে থেকে যায় মৃত্যুর পরেও। মূল্যবান আলোচনার পাশাপাশি তিনি পাঠ করে শোনার একটি ছোট গল্প ‘কৃষ্ণনগর লোকালে নজরুল’।
কবি কবিতা সেন একজন সার্থক কবি। তিনি আকৈশোর কাব্য সাধনা করে আসছেন। তিনি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ কবিতার কবিতা কিশোর বেলা’ থেকে অনুষ্ঠানের মানের সাথে সাযুজ্য রেখে কবিতা পাঠ করে অনুষ্ঠাকে মুখর করে তোলেন।
অনুষ্ঠানে পরিবেশিত শিল্পী মোহন হাজরার দেশাত্মবোধক হিন্দি গান ‘হরকরম আপনা করেঙ্গে হ্যায় বতন তেরে লিয়ে’র ভেতর দিয়ে অনুষ্ঠানে দেশভক্তির এক অনন্য পরিবেশ ফুটিয়ে তোলেন। মোহন হাজরা যে একজন প্রকৃত সংগীত অন্তপ্রাণ শিল্পী তাঁর এই গানেই পরিস্ফুট হয়েছে।
এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুরূপে সঞ্চালনা করেন বাংলার জনরবের সাহিত্য সম্পাদক তথা বিশিষ্ট কথাশ সেখ আব্দুল মান্নান। তিনিও সঞ্চালনার পাশাপাশি স্বরচিত কবিতা ‘স্বাধীনতা’ পরিবেশন করেন।