প্রচ্ছদ 

Madhyamik Examination 2025 : ইতিহাস আর নয়কো ভয়ের বিষয়, বরং বুদ্ধি করে পড়লে উঠতে পারে অনেক নম্বর……..

শেয়ার করুন

অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায় :

সহ শিক্ষক (ইতিহাস )

ব্রিলিয়ান্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

শিক্ষা ব্যবস্থায় যে কয়েকটি মিথ প্রচলিত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো যে ইতিহাস বিষয়ে প্রচুর পড়তে হয় এবং ইতিহাসে খুব একটা নম্বর ওঠে না। কিন্তু বিগত বছরগুলিতে দেখা গেছে ১০০ র মধ্যে ১০০ শতাংশ নম্বর ছাত্রছাত্রীরা পেয়েছে বরং তাই নয়, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ইতিহাসসহ নানা সামাজিক বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ঝোঁক ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণেই বেড়েছে, বেড়েছে ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করার দিকটিও। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার ৩৪ দিন আগে বাংলার জনরবের পাতায় ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আলোচিত হলো 2025 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস সংক্রান্ত সাজেশন, আশা করা যায় এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের ইতিহাস সংক্রান্ত ভীতি কিছুটা হলেও দূর হবে এবং মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইতিহাসে তারা ভালো ফলাফল করবে, একটি জিনিস মনে রাখা দরকার শেষের এই কটা দিনে, পরীক্ষা মানেই শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, শরীর সুস্থ রেখে, সময়োপযোগী ভাবে নিজের সর্বশ্রেষ্ঠ দিকটি উপস্থাপনা করার আরেক নামই হলো পরীক্ষা, তাই ঘড়ি ধরে অনুশীলন, নিয়মানুবর্তিতা, প্রশ্নোত্তরের পাশাপাশি টেক্সটবুক খুঁটিয়ে পড়ার অভ্যাস করা অত্যন্ত জরুরি, ঘড়ি ধরে solve করতে হবে টেস্ট পেপার এবং আমি মনে করি শেষের এই কটা দিন আর নতুন করে কিছু বিষয় না পড়াই শ্রেয়, বর্তমান কালের ছাত্রছাত্রীরা প্রযুক্তিগতভাবে অনেকে এগিয়ে, তবে আসন্ন ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ভালো করার লক্ষ্যে তাদের কাছে আমার ঐকান্তিক অনুরোধ রাত জেগে ফোন থেকে পড়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করে, নিজেদের স্বার্থে এই সময় চলভাষ যন্ত্রটি থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো, মনোরঞ্জনের জন্য এই কটা দিন ভালো গান শোনা, গল্পের বই পড়া, অভিভাবকদের সাথে গল্প করা অনেক বেশি ফলদায়ক হবে বলে আমি মনে করি, তোমাদের আগামী দিনের জন্য সফলতা কামনা করি ইতিহাস পরীক্ষার জন্য একটি সংক্ষিপ্ত সাজেশন এর পাশাপাশি আমার সন্তান সম ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি রইল আমার ভালোবাসা ও স্নেহাশীর্বাদ।

সাজেশন ইতিহাস -২০২৫

Advertisement

ইতিহাসের ধারণা (প্রথম অধ্যায়)

আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য লেখো ।

আধুনিক ইতিহাসচর্চায় প্রত্যক্ষবাদী ও অ্যানাল গোষ্ঠীর ইতিহাসচর্চা সম্পর্কে আলোচনা করো ।

নতুন সামাজিক ইতিহাসের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করো ।

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বিপিনচন্দ্র পালের ‘ সত্তর বৎসর ‘ নামক আত্মজীবনী গ্রন্থের গুরুত্ব কী ?

শিল্পচর্চার ইতিহাসের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করো ।

 

সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (দ্বিতীয় অধ্যায়)

‘ হুতোম প্যাঁচার নক্শা ‘ গ্রন্থে উনিশ শতকের বাংলার কীরূপ সমাজচিত্র পাওয়া যায় ?

‘ নীলদর্পণ ‘ নাটক ও তার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো ।

ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলাফল কী হয়েছিল ?

সতীদাহ প্রথা বিরোধী আন্দোলন বিশ্লেষণ করো ।

চার্লস উডের নির্দেশনামা কী ?

প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (তৃতীয় অধ্যায়)

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে বিভিন্ন উপজাতি বিদ্রোহের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আলোচনা করো ।

সাঁওতাল বিদ্রোহ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো ।

সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহে

র ( ১৭৬৩–১৮০০ ) কারণ ও ব্যর্থতার কারণগুলি আলোচনা করো ।

নীল বিদ্রোহ ঘটেছিল কেন ? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করো ।

 

সংঘব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (চতুর্থ অধ্যায়)

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে ‘ সামরিক বিদ্রোহ বলা যায় কী ?

‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসের জাতীয়তাবাদী মূল্য বিচার করো

 

ভারতসভার লক্ষ্য কী ছিল ? জাতীয় আন্দোলনের উন্মেষে এই সভা কীভাবে সাহায্য করেছিল ?

‘ জমিদার সভা ’ ও ‘ ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন সম্বন্ধে কী জান ?

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পঞ্চম অধ্যায়)

উনিশ শতকের প্রথম তিন দশকে বাংলার মিশনারি প্রেসগুলির মুদ্রণ ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করো । এই পর্বের অন্যান্য ছাপাখানাগুলির বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করো ।

বাংলার ছাপাখানা ও মুদ্রণের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের অবদান ব্যাখ্যা করো । ছাপাখানার ফলাফল বা প্রভাবগুলিকে তুমি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে ?

ভারতের বিজ্ঞান আন্দোলনে মহেন্দ্রলাল সরকারের অবদান কী ?

বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (ষষ্ঠ অধ্যায়)

বিশ শতকের ভারতে কৃষক আন্দোলন প্রসার সম্পর্কে আলোচনা করো ।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে বিহার ও বাংলার কৃষক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো । অন্যান্য রাজ্যে এই আন্দোলনের বিস্তার কেমন ছিল ?

বিশ শতকের কিয়ান আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থীদের সম্পর্ক আলোচনা করো ।

তেভাগা আন্দোলনের সূচনা ও পরিণতি আলোচনা করো ।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো ।

 

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর

আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (সপ্তম অধ্যায়)

উনিশ – বিশ শতকের নারী জাগরণের পটভূমি আলোচনা করো ।

স্বদেশি আন্দোলনে বাংলার নারীসমাজের কী ভূমিকা ছিল ?

অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে নারীর ভূমিকা কী ছিল ?

আইন অমান্য আন্দোলন ও ভারতের নারীসমাজ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ লেখো ।

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো

 

উত্তর- ঔপনিবেশিক ভারত : বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) (অষ্টম অধ্যায়)

মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা ও দেশভাগ সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করো ।

ভারতীয় স্বাধীনতা আইন সম্পর্কে একটি টীকা লেখো ।

ভারতবিভাগের অনিবার্যতা বিচার করো ।

কাশ্মীর সমস্যার প্রকৃতি ও প্রভাব চনা করো ।

দেশীয় রাজ্যগুলির অন্তর্ভুক্তি ও পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভূমিকা কী ছিল ?

 

ইতিহাস ছোট প্রশ্ন সাজেশন (২০২৫)

উনিশ শতকে ভারতের সভা সমিতির যুগ বলেছেন – ডঃ অনিল শীল

বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা গঠিত হয় – 1836 খ্রিস্টাব্দে

বিদ্যাহারাবলী গ্রন্থটি প্রণয়ন করেন – ফেলিক্স কেরি

জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রথম সভাপতি ছিলেন – রাসবিহারী ঘোষ

সত্তর বৎসর নামক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় – প্রবাসী পত্রিকায়

জীবনের ঝরাপাতা গ্রন্থটি লিখেছিলেন – সরলাদেবী চৌধুরানী

বিরসা মুন্ডার মৃত্যু হয় – 2 জুন

Fighteen Fifty Seven গ্রন্থটি রচনা করেন – সুরেন্দ্রনাথ সেন সুরেন্দ্রনাথ সেন

ভারতে প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন – পর্তুগিজরা

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের রূপকার হলেন – রাজেন্দ্রনাথ মুখার্জি

জীবনস্মৃতি রচনা করেন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করেন – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

বিধবা বিবাহ আইন পাস হয় – 1856 খ্রিস্টাব্দে

নব্য বেদান্তের প্রবক্তা ছিলেন – স্বামী বিবেকানন্দ

সাঁওতাল বিদ্রোহ শুরু হয় – 1855 খ্রিস্টাব্দে

ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে শেষ উপজাতি বিদ্রোহ ছিল – মুন্ডা বিদ্রোহ

বাংলায় সংগঠিত প্রথম আদিবাসী বিদ্রোহ হলো – চুয়াড় বিদ্রোহ

জমিদার সভার সভাপতি ছিলেন – রাধাকান্ত দেব

মহারানীর ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভারতের রাজপ্রতিনিধি হিসেবে প্রথম নিযুক্ত হন – লর্ড ক্যানিং

‘জাতীয় ও শিক্ষা পরিষদ’ গঠনের প্রেক্ষাপট ছিল – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন – রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ইতিহাসচর্চাকে ‘অন্যান্য বিদ্যা চর্চার জননী’ বলে অভিহিত করেছেন – জি এম ট্রেভেলিয়ান

An Indian pilgrim আত্মজীবনী টি হল – সুভাষচন্দ্র বসুর

নীলদর্পণ নাটককে ‘আঙ্কল টমস কেবিন’ এর সঙ্গে তুলনা করেছেন- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

হাজী শরীয়ৎউল্লাহ ফরাজী সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করেন – 1820 খ্রিস্টাব্দে

ইন্ডিয়ান লীগ স্থাপন করেন – শিশিরকুমার ঘোষ

লাইনো টাইপ অক্ষর তৈরি করেন – সুরেশচন্দ্র মজুমদার

স্বাধীন ভারতের জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনে যুক্ত ছিলেন – মেঘনাথ সাহা

কন্যার প্রতি পিতার পত্র – গ্রন্থটি কার লেখা? – জওহরলাল নেহেরু

সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন – দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ

কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় – 1835 খ্রিস্টাব্দে

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রকাশ করেন – দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিধবা বিবাহ আইন পাস করেন – লর্ড ক্যানিং

‘জীবনের ঝরাপাতা’ লিখেছিলেন – সরলাদেবী চৌধুরানী।

আশা করা যায় উল্লেখ্য প্রশ্নগুলির যদি যথাযথ অনুশীলন এই শেষের কটা দিন করা যায়, তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা ইতিহাসের ভীতি কাটিয়ে অবশ্যই ভালো ফলাফল করবে এবং বিজ্ঞানের বিষয়গুলির পাশাপাশি সামাজিক বিজ্ঞানের অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় ইতিহাস নিয়ে পড়ার ও স্বপ্ন দেখবে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ