মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে ‘মূল চক্রী’ শাসক দলের নেতা! দাবি পুলিশের
বাংলার জনরব ডেস্ক : মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে ‘মূল চক্রী’ তৃণমূলের মালদহ শহরের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ স্বপন শর্মা বলে দাবি পুলিশ। বুধবার এমনই জানালেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, নরেন্দ্রনাথের সঙ্গে দুলালের গন্ডগোলের কথা। খুনের নেপথ্যে আর্থিক লেনদেনের বিষয় উঠে এসেছে। যদিও কোন বিষয়ে ওই টাকার লেনদেন হয়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বুধবার নরেন্দ্রনাথ এবং স্বপনকে আদালতে হাজির করানো হলে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, টাকার লেনদেন, ফোনের কল রেকর্ডিং ইত্যাদি দেখে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘এটা রাজনৈতিক খুন।’’
তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ এবং স্বপনের আইনজীবীরা আদালতে জানান, তাঁদের মক্কেলরা শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তাই তাদের জামিন মঞ্জুর করা হোক। যদিও আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। সরকারি আইনজীবী জানান, দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় আরও তথ্য সংগ্রহ করতে ওই দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন ছিল। আদালত সেই আবেদন মেনেছে।
তৃণমূল নেতা খুনে এ পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম জানান, পাঁচ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নরেন্দ্রনাথকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে এবং স্বপনকে মঙ্গলবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সকালে দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়। সুপ্রতিম বলেন, ‘‘স্বপন এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী। বোমাবাজি, খুন, দাঙ্গাহাঙ্গামায় তাঁর নামে অজস্র অভিযোগ রয়েছে।’’