আন্তর্জাতিক 

প্রাচীন চট্টগ্রাম বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা : রামায়ন যুগেও চট্টগ্রামে মানব বসতি ছিল! প্রত্ন স্মৃতি সরকারী উদ্যোগে সংরক্ষণের দাবী

শেয়ার করুন

বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদ (বিএইচআরপি)’র উদ্যোগে পঞ্চদশ জাতীয় সেমিনার ২০২৪ গতকাল (১৬ অক্টোবর ২০২৪), বুধবার, বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর মোমিন রোডস্থ চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারে “প্রত্নতাত্ত্বিক ভাষ্যে চট্টগ্রামের পঞ্চধারা ধর্মীয় নিদর্শন : প্রত্ন-পর্যটনের অপার সম্ভাবনা” শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রামের উপপরিচালক কাম কীপার, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও লেখক ড. মোহাম্মদ আতাউর রহমান।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদের সভাপতি ইতিহাসবেত্তা সোহেল মো. ফখরুদ-দীন। সেমিনারের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জীবন সদস্য, প্রবীণ ইতিহাসবিদ মো. ফখরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চাকেন্দ্রের উপদেষ্টা চেয়ারম্যান লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া। মূখ্য আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের লেখক-গবেষক- সাংবাদিক বাংলার রেনেসাঁর সম্পাদক আজিজুল হক।

Advertisement

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ কবি নুর নবী জমাদার, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব নুর হোসেন রানা, ভাষা গবেষক ডা. ম আ মুক্তাদীর, শিক্ষাবিদ জহুরুল আনোয়ার, পরিব্রাজক মোহাম্মদ আবদুর রহিম, মুসলমান ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসাইন, ইতিহাস চর্চা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক শামীম, কবি দেলোয়ার হোসেন মানিক, জিএম মামুনুর রশীদ, শিক্ষাবিদ বেলাল হোসেন, সজল দাশ, লেখক এস.এম ওসমান, তারিফ হোসেন, হানিফ মান্নান, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ জাবেদ, শৈবাল দে, নয়ন বড়ুয়া প্রমূখ। সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, প্রাচীন এই চট্টগ্রামে রামায়ন যুগেও মানব বসতি ছিল! এথেকে প্রতীয়মান হয় চট্টগ্রামে হাজার হাজার বছর আগে মানব সভ্যতা গড়ে উঠে। পাহাড়-সমতল-নদী ও সমুদ্রের তীর বর্তী এই প্রাচীন চট্টগ্রাম ইতিহাসের চোখে বিশ্ব ইতিহাসখ্যাত।

স্বয়ং রাসূল (সা.) এর যুগে এখানে সাহাবীরা এসেছিলেন, স্বয়ং গৌতম বুদ্ধের পদচিহ্ন এই চট্টগ্রামের মাটিতে পড়েছে, সনাতনী ধর্মের স্বয়ং সীতার চারটি পবিত্র পীঠ এই চট্টগ্রামে। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে পঞ্চধারায় ধর্ম প্রচার ও সভ্যতা বিকাশ ঘটেছে। হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রত্নচিহ্নগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে প্রত্নসম্পদ হিসেবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে। এই বিষয়ে লেখক-গবেষক-সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ