বনধের দিন স্কুল যাওয়ার পথে শিক্ষকের গাড়িতে হামলা, চাঞ্চল্য পাঁচলায়
বিশেষ প্রতিনিধি : বুধবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছিল বিজেপি। কিন্তু রাজ্য সরকার তার কর্মীদের নির্দেশ দেয় নির্দিষ্ট সময় মেনে প্রত্যেককে হাজিরা দিতে হবে স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে অফিস আদালতে। সরকারি নির্দেশ মোতাবেক আজ সকালে হাওড়া জেলার পাঁচলা আজীম মোয়াজ্জাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং টিচার ইনচার্জ এসএম শামসুদ্দিন গ্রামের বাড়ি থেকে স্কুল যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন।
স্কুলে আসার সময় পাঁচলায় বাজারের আগে একটি জায়গায় বি জে পি র কয়েকজন এসে ভাঙচুর করে । সামনে পুলিশ রাফ্ফ এর সামনে কয়েকজন এসে গাড়ি ভাঙ্গচুর ও টেনাহ্যাঁচড়া করে হামলা করে ।ওই সময় গাড়িতে ছিলেন পাঁচলা আজীম মোয়াজ্জাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ প্রধান শিক্ষক তথা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ মোঃ শামসুদ্দিন ,বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক শ্রী রমেন চন্দ্র পাত্র ,ও পাঁচলা সার্কেলের সার্কেল ইনস্পেকটর স্বপ্না রাউৎ, ড্রাইভার শাহরুখ শেখ এর হাতে আঘাত লাগে ,রক্তাক্ত হয়।
কয়েকজন পুলিশ থাকলেও তাঁরা নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয়।ফলে স্থানীয় বাচ্চাদের বিদ্যালয়ের গাড়িতে ও দুষ্কৃতীরা হামলা করে ।পাঁচলা স্কুলের এক মহিলা শিক্ষিকার উপরে ওরা হামলা করে ।এ ছাড়া বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।।
তিনি যে গাড়িতে করে স্কুলে যাচ্ছিলেন সেই গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয় এবং তার উপরে চড়াও হয়। তিনি কোনক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে স্কুলে চলে যান পরে থানায় অভিযোগ জানান। বিষয়টি তিনি হাওড়া জেলার গ্রামীণ এসপিকে জানান পরবর্তীতে এসপির অনুরোধে পাঁচলা থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। প্রশ্ন উঠেছে বন্ধের দিন কাজে যাওয়ার জন্য কেন এভাবে হামলা করা হলো এবং এখনো পর্যন্ত কেন দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হলো না?
এস এম শামসুদ্দিন শুধুমাত্র একজন শিক্ষক তা নন তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তিনি আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে লেখালেখি করে থাকেন। একইসঙ্গে তিনি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেতা হিসাবে পরিচিত, তারপরেও শাসকদলের নেতা কিভাবে বন্ধের দিন আক্রান্ত হলেন এবং পুলিশ প্রশাসন এখনো নীরব কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।