জেলা 

সুজাপুরের বিধায়ক ও ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল গণির কাজে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী! এবার কী গণির বিদায়ের পালা?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : মালদহের সুজাপুরের বিধায়ক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুল গনির কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সুজাপুরের বিধায়ক। অবশ্য তাঁর অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন গণিসাহেব অসুস্থ তাই আসতে পারেননি। তিনি যেহেতু অসুস্থ তাই তাঁর সুজাপুর এলাকার কাজকর্ম দেখবেন শেষ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল গোল বাঁধলো মুখ্যমন্ত্রীর আরেকটি মন্তব্যে।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুল গনি বর্তমানে ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সঠিকভাবে বোর্ড চালাতে পারছেন না বলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন। কার্যত মুখ্যমন্ত্রী এদিন ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কেড়ে নেন। মুখ্যমন্ত্রী দিন বলেন ওয়াকফ বোর্ড বর্তমানে দেখভাল করবেন আধিকারিকরা।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়,‘‘ওয়াকফ বোর্ডের কাজ একেবারে ভাল হচ্ছে না। অনেক কাজকর্ম আটকে রয়েছে।’’ তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ থেকে আমি এই কাজের দায়িত্ব ওয়াকফ বোর্ডের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের দিলাম। তাঁরা এই বিষয়ে যাবতীয় কাজকর্ম করবেন।’’ তবে আধিকারিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘বেশ কিছু এনক্রোচমেন্টের বিষয় রয়েছে। আমি কিন্তু যে কোনও ধরনের এনক্রোচমেন্টের বিরুদ্ধে। তাই ওয়াকফ বোর্ডের কাজকর্ম করার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি যেন মাথায় রাখা হয়।’’

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সুজাপুর থেকে এক লক্ষ ৩২ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন আব্দুল গনি। কিন্তু তারপর থেকে সুজাপুরে আব্দুল গনি সাহেবকে খুব কম সময় দেখা গেছে বলে অভিযোগ। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই বিধায়কের কাজকর্ম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সরব হয়েছেন। তবে শুধু সুজাপুর কেন সমগ্র মালদা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক অবস্থা খুব খারাপ হয়েছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আব্দুল গনি সাহেব ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে ব্যর্থ এ কথাটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে জানলেন তিনি তো দীর্ঘদিন ধরে অযোগ্যতার পরিচয় দিয়ে এসেছেন। তাহলে এতদিন তাকে সরানো হলো না কেন? নাকি পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ধরনের কথাবার্তা বলে মুসলমান সমাজের কে নিজের দিকে টানার চেষ্টা। এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ