দেশ 

রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে গ্রেফতার ৫৪৮, দোষী সাব্যস্ত ১২, ‘সুপ্রিম’ চাপে আইন বদলাতে রাজি কেন্দ্র

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ২০১৫ সাল থেকে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা হয়েছিল ৩৫৬ টি গ্রেফতার হয়েছিল ৫৪৮ জন। এই হিসাব ২০২০ সাল পর্যন্ত। কিন্তু এতগুলো মানুষকে গ্রেফতার করে জেলের মধ্যে রাখা হলেও মাত্র ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছিল প্রশাসন। এ নিয়েই দেশজুড়ে শোরগোল শুরু হয়।

আর তা নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা হয় এই মামলার পরিপেক্ষিতে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে স্থগিত করে দেয় শীর্ষ আদালত। এরপরই শিষ্য আদালত কেন্দ্রের কাছে জানতে চান যে উপনিবেশিক আইন রাখার কোন যৌক্তিকতা আছে কিনা। পরাধীন ভারতে যে আইন এদেশের সাধারণ মানুষকে রাষ্ট্রদ্রোহে অভিযুক্ত করত সেই আইনে স্বাধীন ভারতের নাগরিকদের করা যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে কেন্দ্র সরকারের মনোভাব ও জানাতে বলেছিল, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আইন পরিবর্তন করতে রাজি আছে বলে হলফনামা দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে।

Advertisement

এই মামলায় কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি শীর্ষ আদালতকে বলেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ ধারা-সহ রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের আওতায় থাকা বিভিন্ন ধারাগুলি পরীক্ষা করার কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। সেই প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’’

১৮৭০ সালে ব্রিটিশ শাসনকালে এই আইন কার্যকর হয়। সেই সময়ে এটি ব্রিটিশ সরকারের বিরোধীদের ব্যবহার করা হত। যারা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করত, তাদের এই আইনে বিচার করা হত। যদি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়, তবে তিনি সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। রাষ্ট্রদ্রোহ একটি জামিন অযোগ্য অপরাধ। অপরাধের ধরন অনুযায়ী তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে।

২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় ৩৫৬টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ৫৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং মাত্র ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ