জেলা 

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা মঞ্চ ছাড়তেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছড়ে পড়ল, তুমুল বিশৃঙ্খলা, লুট ব্যালেট বাক্স, জনসংযোগ যাত্রার প্রথম দিনেই চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : বাংলার জনরব নিউজ পোর্টাল অনেক আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের নবজোয়ার কিংবা অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের আশঙ্কাকে সত্য করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম দিনের জনসংযোগ যাত্রা দিনেই অশান্তির তুমুল আকার দেখা দিয়েছে। কোচবিহারের সিতাই এর সভায় তিনি অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা মঞ্চ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার নেয় তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের কর্মসূচি প্রার্থী নির্বাচনের জন্য ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়ে যায়। এক কথায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম দিনের কর্মসূচিকে ফ্লপ বলা যাবেই একইসঙ্গে এটাও বলা যেতে পারে শাসকদলের আত্মসম্মান পুরোটাই বিসর্জিত হয়েছে আজকের সভা থেকে।

তবে ঘটনার কিছুক্ষণ পরে,শীতলকুচিতে সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ যদি জোর করে নিজের নাম ঢোকাতে চান, তাঁরা মূর্খ্যের স্বর্গে বাস করছেন। আমি জানতাম গোলমাল হবে। তার জন্যই নবজোয়ার কর্মসূচি।”

Advertisement

তিনি বলেন, “আগামীকাল আবার রি-পোল হবে। সংবাদ মাধ্যম থাকবে, আপনারা সরকারের চোখ কান হয়ে কাজ করুন। কাল ২ ঘণ্টার বদলে ৭ ঘণ্টা ভোট হবে। আগে ১০ জন আলোচনা করে প্রার্থী ঠিক করত। এখন মানুষ প্রার্থী ঠিক করবে।”

জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছেন অভিষেক। প্রসঙ্গত, এদিন সিতাইয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পরেই তুমুল বিশৃঙ্খলা হয়। জনসংযোগ যাত্রায় সকলকে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন অভিষেক। গোপন ব্যালটের ব্যবস্থাও করেছিলেন। সিতাইয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যেতেই হুড়োহুড়ি, মারামারি শুরু হয়ে যায়। গোপন ব্যালটে একসঙ্গে ভোট দিতে চলে আসেন প্রচুর মানুষ। ব্যালট ঘিরে হাতাহাতি পর্ব তৈরি হয়। শেষে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

অর্থাৎ জনসংযোগ যাত্রার প্রথম দিনে ই যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বকে নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে তাতে আগামী দিনে যে আরো সংকটে পড়বে দল তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতেই যদি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এভাবে আছড়ে পড়ে তাহলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি হতে পারে তা এখন থেকেই অনুমান করা যেতে পারে। শুধু মুখে বললে হবে না দলকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কতগুলো লুম্পেনের হাতে তৃণমূল স্তরের দলটা পরিচালিত হচ্ছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ