কলকাতা 

বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার দায়ে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হলে মোদি শুভেন্দুর হবে না কেন? শহীদ মিনারে দলের ছাত্র যুব সমাবেশে দাবি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে সমর্থন করলেন না তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বরং বিজেপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বললেন একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে তিনি অপমান করেছেন। তবে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হলে তাহলে কেন শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক পদ খারিজ হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর প্রশ্ন, যদিও কোনও সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার শাস্তি হিসেবে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়, তাহলে একই কারণে মোদি কিংবা শুভেন্দুর পদ কেন যাবে না? শুধু তাই নয়, এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কথাও উঠে আসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মুখে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাহুল গান্ধীর একটা মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে তাঁর শাস্তি হল। সাংসদ পদও গেল। কী বলেছিলেন তিনি? নীরব মোদি, ললিত মোদি, নরেন্দ্র মোদি…। তাঁর এই মন্তব্যকে আমি সমর্থন করি না। আমি কারও ভাবাবেগে আঘাতও করতে চাই না। কিন্তু গোটা বাংলার কাছে একটা প্রশ্ন করতে চাই, নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদি যে ব্যঙ্গাত্মক ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ‘দিদি, ও দিদি’ বলেছেন, তাতে মহিলাদের আঘাত করা হয়নি? এর জন্য তাঁর পদ খারিজ হবে না কেন?”

এরপরই তিনি নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে। প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘জুতার তলায় থাকে’। তফসিলি সম্প্রদায়কে আঘাত করা হলে তাঁর পদ খারিজ হবে না কেন? আইন তো কারও জন্য আলাদা নয়। এরপরই অভিষেক জানিয়ে দেন, সুরাটের রায়কে হাতিয়ার করেই মোদি ও শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও আদালতে যাওয়া হবে। তাঁর কথায়, “একমাসের মধ্যে পিটিশন চাই। আগামী দিনেও এ নিয়ে আন্দোলন করব।”


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ