দেশ 

কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন ১০মে, গণনা ১৩ মে, রাহুলের শূন্যে আসনে এখনই ভোট নয় জানিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি : রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। বুধবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন কর্নাটকে ভোট গ্রহণ হবে দশই মে এবং গণনা হবে ১৩ই মে। তবে খারিজ হয়ে যাওয়া রাহুলের সাংসদ পদ, ফলে কেরলের ওয়েনাড় আসনে এখনই ভোট হচ্ছে না বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।

দক্ষিণের এই রাজ্যটিতে আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস এবং জেডইউএস জোট কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে বিজেপি দল ভাঙিয়ে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তা নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক হয়। মোদি সরকার সব রকম শক্তি প্রয়োগ করে বিরোধীদের ক্ষমতাকে কেড়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এরপর কর্নাটকে হিজাব বিতর্ক থেকে শুরু করে নানা বিতর্কে জমে ওঠে কর্ণাটক। দক্ষিণের এই রাজ্যটি বরাবরই কৃষ্টি সংস্কৃতির দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তিতেও দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে অবস্থান করছে। এই অবস্থায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কর্ণাটক কার দখলে যাবে তারপর নির্ভর করছে আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন।

Advertisement

তবে ক্ষমতাসিন বিজেপি দল কর্নাটকে অনেকটাই চাপের মুখে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাহুল গান্ধী যে ভারত জোডো যাত্রা করেছিল সেই যাত্রার বিরাট সাফল্য পেয়েছিল এই রাজ্যে। সুতরাং রাহুল গান্ধীর ভারত জোড় যাত্রা যদি কোন প্রভাব পড়তে শুরু করে তার প্রমাণ মিলবে কর্ণাটক থেকেই। কারণ এর আগে পর্যন্ত যেসব রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে গুজরাট থেকে শুরু করে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে সেখানে রাহুল গান্ধীর ভারত জড়ো যাত্রা পৌঁছায়নি। সুতরাং এ কথা মানতেই হবে রাহুল গান্ধীর ভারত-জড়ো যাত্রা এই দেশের জনমানষে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে তার প্রমাণ মিলবে কর্নাটকের নির্বাচন।

তবে মনে করা হচ্ছে কর্নাটকে কংগ্রেসের শক্তি আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে মুখ করে কংগ্রেস দল এখানে ভোট প্রচারে নামবে অন্যদিকে এখন যিনি কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি আছেন তিনি যথেষ্ট সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী নেতা হিসাবে ওই রাজ্যে পরিচিত। সুতরাং এবার কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের জমে উঠবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আর এর সঙ্গে যদি রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ প্রসঙ্গটি এই নির্বাচনে ইস্যু হয়ে যায় তাহলে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা এই রাজ্যে বিজেপি দুই অংকেও পৌঁছাতে পারবে না। এই রাজ্যে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ২২৪ টি। ১১৩ টি আসন যে দল পাবে সেই দলই ক্ষমতা দখল করতে পারবে বর্তমানে বিজেপির এ রাজ্যে আসন সংখ্যা রয়েছে ১২১টি কংগ্রেসের রয়েছে ৭০ টি, জে ডি ইউ এস ৩০।

এদিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া পদ্ম শিবিরও। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে যে ক’টি রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কর্ণাটক। দেশের অন্যতম বৃহৎ ও অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল কী হয় তা জানতে যে রাজনৈতিক মহল উদগ্রীব হয়ে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ