কলকাতা 

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সামনেই দলের সাংসদদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামনে এলো, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়িয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে পঞ্চায়েত ভোট লড়তে হবে, নির্দেশ জেপি নড্ডার

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি দলে গোষ্ঠী কোন্দল এতটাই তীব্র হয়েছে যে সর্বভারতীয় সভাপতির সামনে রীতিমতো শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন একাধিক সাংসদ। বাংলার বেশ কয়েকজন সাংসদ কড়া ভাষায় শুভেন্দু ও সুকান্ত মজুমদারের সমালোচনা করেছে বলে সূত্রের খবর। সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা এই দৃশ্য দেখে তিনি দলের সব সাংসদকে লক্ষ্য করে বলেন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের দিল্লির বাসভবনে বঙ্গের বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন নড্ডা। সাংসদেরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী।

Advertisement

দিন কয়েক আগেই পশ্চিমবঙ্গে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের নেতাদের প্রশ্ন করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম বাড়ছে কী ভাবে? শাহের সামনেই উঠে এসেছিল রাজ্য বিজেপির আন্দোলনহীনতার প্রসঙ্গ। সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নামবে বিজেপি। ব্লক স্তরে দলের কর্মী-সমর্থকেরা বিডিও অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেবেন।’’ তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন জেলায় গিয়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন রাজ্যস্তরের নেতারা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলকে আন্দোলনমুখী করে বিরোধী পরিসর দখলে আরও জোর দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

বিজেপি সূত্রের খবর, বৈঠকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে রাজ্যে নেতাদের একযোগে কাজের নির্দেশ দিয়েছে নড্ডা। বৈঠকে উপস্থিত এক সাংসদ জানিয়েছেন, বৈঠকে সভাপতি বলেছেন, পঞ্চায়েতে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বুথস্তরের কর্মীদের মতামতকেও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। বৈঠকের পরে সাংসদ তথা বিজেপির সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্য বিজেপিতে যদি কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে থাকে, আশা করি তা মিটে যাবে।’’ যদিও সুকান্তের দাবি, ‘‘বঙ্গ বিজেপিতে কোনও কোন্দল নেই। আমরা সকলেই এক সঙ্গে দলের হয়ে কাজ করি।’’

এদিনের বৈঠকে সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সিএএ নিয়ে সরব হন। পরে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, সিএএ দেশের আইন। তা চালু হবেই। ঠিক সময়ে জানা যাবে, তা কী ভাবে চালু হবে। রাজ্যের সব বিজেপি সাংসদ বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া সাংসদ অর্জুন সিংহ।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ