হেমন্ত সোরেনকে জামিন দিতে অসুবিধা কোথায়? কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডির কাছে জানতে চাইলো সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ২১ মে
বাংলার জনরব ডেস্ক : ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে কেন জামিন দেওয়া যাবে না তা জানতে চাইলেও দেশের শীর্ষ আদালত। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ২০ মে-র মধ্যে এ বিষয়ে মতামত জানাতে হবে ইডিকে। ২১ মে মামলায় শুনানি হবে।
ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় গ্রেফতার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা হেমন্ত লোকসভা ভোটে প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। গত ১৩ মে ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) সংক্রান্ত রাঁচীর বিশেষ আদালত হেমন্তের জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল। সে দিনই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন জেএমএম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনর পুত্র। তাঁর আর্জি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মতো তাঁকেও লোকসভা ভোটে প্রচারের সুযোগ দেওয়া হোক।
জমি সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করেছিল হেমন্তকে। গ্রেফতারির আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ইডির গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে অভিযোগ করে শীর্ষ আদালতে আগেই আবেদন জানিয়েছেন হেমন্ত। বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি দত্তকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে সেই আবেদনটিও বিচারাধীন।
আজ শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে ঈদের আইনজীবী বলেন হেমত সোরেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভোট ঘোষণার অনেক আগে ৩১শে জানুয়ারি। তাছাড়া তিনি ওই দলের একমাত্র প্রধান মুখ নন সুতরাং জামিন দেওয়াটার যুক্তি নেই। এর পরেই দুই বিচারপতি ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চান জামিন দিলে আপনাদের অসুবিধা কি? সেটা আগামী কুড়ি মের মধ্যে এফিডেভিট দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে হবে। তারপরেই সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত জানাবে। আগামী একুশে মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে। যদিও ঝাড়খন্ডে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম দফায় অর্থাৎ কুড়ি, পঁচিশ মে এবং পয়লা জুন ভোট হওয়ার কথা। যদি একুশে মে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট তাহলে অন্তত দশ দিন ধরে প্রচার করার সুযোগ পাবেন তিনি। এখন দেখার বিষয় এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট ২১শে মে কি সিদ্ধান্ত নেন।
প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান কেজরীওয়ালকে লোকসভা ভোটে প্রচারের সুযোগ দিতে গত ১০ জুন ২১ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হেমন্তের আইনজীবী কপিল সিব্বল সেই উদাহরণ তুলে ধরে গত ১৩ মে শুনানিতে বলেছিলেন, ‘‘আমার মক্কেলও চান লোকসভা ভোটে প্রচারের সুযোগ দিয়ে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হোক।’’