জেলা 

হাত কাটার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা জামিন পেয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে রেনু বললেন “আমি আতঙ্কিত”

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : রেনু খাতুনের হাত কাটার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চাকরি এবং কৃত্রিম হাত লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মত রেনু চাকরি পেয়েছেন,কৃত্রিম হাতও পেয়েছেন। কিন্তু রেনুর হাত কাটার সঙ্গে যুক্ত মূল আসামি সহ তিন জন জামিনে মুক্তি পেয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেনু।যা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “আমি আতঙ্কিত।” তাঁর সংযোজন, “তদন্তে গাফিলতি থাকতে পারে পুলিশের। তাই হয়তো জামিন পেয়ে গেল ওরা।’’ রেণু জানান, আবার নতুন করে ভয় পাচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ওদের জামিন হওয়ায় আমি বিস্মিত! আমার উপর আবার হামলা হতে পারে।”

গত ৪ জুন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামের বধু রেণুকে নার্সিংয়ে চাকরি করতে দেবেন না বলে তাঁর ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বামী শেখ সরিফুল ওরফে সিরাজ শেখের বিরুদ্ধে। পরে জানা যায়, এই কাজে সিরাজের সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক তুতো ভাই-সহ আরও দুই সঙ্গী। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় হয়। রেণুর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি -সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, খুনের চেষ্টা-সহ ছ’টি ধারায় এসিজেএমের কাছে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। গত ৩০ জুন আদালতে জমা দেওয়া ৪১৮ পাতার চার্জশিটে প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, চিকিৎসক, স্থানীয় বাসিন্দা-সহ ২৪ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রেণু নার্সিংয়ের চাকরি পান।

Advertisement

বর্তমানে একটি নার্সিং কলেজে রাণু কর্মরত। পাশাপাশি তাঁর কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ।

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ