কলকাতা 

Kolkata TV : কলকাতা টিভির দফতরে নজীরবিহীনভাবে ৮০ ঘন্টা ধরে কেন্দ্রীয় এজেন্সীর তল্লাশি ! গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক সংকেত !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলাম : কলকাতা টিভির মালিকের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগাযোগ রয়েছে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । এমনকি প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই যখন এসএসসি দূনীর্তি মামলায় প্রথমবার ডেকে পাঠায় সেই সময় তাঁর সঙ্গে কলকাতা টিভির মালিক কৌস্তভ রায়কে দেখা যায় । এমনকি আনিস খান হত্যার পর কৌস্তভ রায়কে মধ্যস্ততার ভুমিকাতেও দেখা যায় । এগুলি একজন সংবাদমাধ্যমের কর্তৃপক্ষ করতে পারেন কিনা তা অবশ্যই প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে । আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আনিস খানের ঘটনায় একজন সংবাদ মাধ্যমের দায়িত্বশীল কর্তা হিসাকে কৌস্তভবাবুর প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব ছিল যেসব পুলিশ কর্মী ও আধিকারিক আনিসের হত্যার নেপথ্যে ছিল তাদের বিরুদ্ধে সরব হওয়া। কিন্ত তিনি তা না করে যেভাবে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা নিয়েছিলেন তা অবশ্যই নিন্দনীয় ।

তবে একই সঙ্গে নিন্দনীয় কলকাতা টিভির দফতরে যেভাবে ৮০ ঘন্টা ধরে তল্লাশির নামে অবরোধ করা হল । সংবাদ মাধ্যমে স্বাধীনতা যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে সবার আগে কাম্য । কলকাতা টিভি বরাবরই বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করে থাকে । নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বাংলায় সরব কলকাতা টিভি । আর যদি এই কারণেই কলকাতা টিভির দফতরে কেন্দ্রীয় এজেন্সীর আক্রমণ হয় তা সত্যিই গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক সংকেত । এরপর আমরা দেখতে পাবো প্রতিটি নাগরিককে নিশানা বানানো হবে ।

Advertisement

সবচেয়ে অবাক লেগেছে,কলকাতা টিভির দফতের ৮০ ঘন্টা ধরে তল্লাশি চলল অথচ এই রাজ্যের সুশীল সমাজ নিরব থাকলো যা আমাদেরকে ব্যথিত করেছে । এখানে বাংলার জনরব -এর অবস্থান স্পষ্ট সংবাদ মাধ্যমের উপর যে সরকারই আঘাত হানার চেষ্টা করুক না কেন তা আমরা নিন্দা জানাব । এর আগে জনপ্রিয় সোশ্যাল মাধ্যম তথা ইউটিউব চ্যানেল আরামবাগ টিভি কর্ণধারকে যখন গ্রেফতার করেছিল আরামবাগ পুলিশ সেই সময়েই বাংলার সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিল, অন্যদিকে তৎকালীন হুগলির গ্রামীণ এসপির বিরুদ্ধে আমরা সরব হয়েছিল ।

তাই আমরা বলতে দ্বিধা করবো না সংবাদ মাধ্যমের উপর এজেন্সী দিয়ে হামলা করা একথায় জরুরি অবস্থা জারি করার চেয়ে ভয়ংকর । ইন্দিরা গান্ধী এদেশে জরুরি অবস্থা জারি করে সাংবিধানিক ভাবে দেশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন । আর এর সমালোচনা আমরা চার দশক পরেই সমানভাবে করে চলেছি। কিন্ত জরুরি অবস্থা জারি না করে সমস্ত সাংবিধানিক নিয়ম-কানুন বিধি অমান্য করে যেভাবে মুহাম্মদ জুবায়ের থেকে শুরু করে কলকাতা টিভির উপর অনৈতিক আক্রমণ হচ্ছে তা গণতন্ত্রের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক সংকেত । এ থেকে মুক্তির পথ কোথায় ?


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ