কলকাতা 

পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে ২০২২, ৫ই মে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল কেন! সিবিআই এর নজরে কী এবার মুখ্যমন্ত্রী?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলাম: পশ্চিম বাংলার রাজনীতিতে আচমকাই ২০২২ এর ৫ মে তারিখটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হঠাৎ ,৫ই মে তারিখটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল কেন? বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলতে শুরু করেছেন যে পাঁচই মে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে কজন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন তাদের সকলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হোক! আসলে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে একটি কারণে যে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই দিনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরির।

আদালতের নির্দেশে যে সকল শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি খারিজ হয়ে যায় তাদের জন্য আলাদা একটা নতুন পোস্ট তৈরি করা হয় এই পোস্টর পোশাকি নাম হয় সুপার নিউমেরিক পোস্ট। আর এই পোস্টটিকে ঘিরে যখন বিচারপতি পদে ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তখনই বিতর্ক বাধে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সরাসরি সরকারের কাছ থেকে জানতে চান বেআইনিভাবে নিযুক্ত চাকরি প্রার্থীদের বাঁচাতে কেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়েছে। এরপরই অবশ্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয় এই ধরনের পোস্ট নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তা বাতিল করা হবে। ঠিক তখনই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত কার নির্দেশে হয়েছিল সেটা খুজে দেখবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল প্রবাহিত হয়েছে এই মামলার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ সব ঘুরে আসার পর গতকাল সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পর নির্দেশ দেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট যারা তৈরি করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চলবে।

Advertisement

শুধু নির্দেশ দিয়েই বিচারপতিরা দায়িত্ব শেষ করেননি একই সঙ্গে বলেছেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ওইদিনের বৈঠকে যারা যারা ছিলেন এমনকি সরকারি আধিকারিকরা যারা এই ধরনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছিলেন তাদের প্রত্যেককে সিবিআই চাইলে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে। আর এই ইস্যুটিকেই এখন সামনে আনতে চাইছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি জানিয়েছেন যে ২০২২ এর ৫ই মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে সকল মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন তাদের সকলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করুক সিবিআই।।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরির জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তার নেপথ্যে দুজনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। একজন হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যজন হলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। হাইকোর্টের এই ধরনের নির্দেশের পর সিবিআই যদি মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা করতে শুরু করে এবং লোকসভা নির্বাচনের চলাকালীন সময়ে তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি অনেকটাই ঘোরালো হয়ে যাবে। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসকে অস্তিত্বের সংকটে ভুগতে হতে পারে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের এই পরিণতির জন্য অন্য কোন রাজনৈতিক দল দায়ী হতে পারেনা বরং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিজেরাই দায়ী।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ