দেশ 

লোনের টোপ দেখিয়ে মহিলাদের মোবাইল হ্যাক করে ব্ল্যাকমেল করছে জালিয়াতরা, তদন্তে লালবাজার

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: দ্রুত লোনের ব্যবস্থা করে দেয়া হয় এই টোপ দিয়ে বিভিন্ন মোবাইলে পাঠানো হচ্ছে লিংক আর এই লিংকে ক্লিক করলেই বিপদ বাড়ছে। জালিয়াতরা এখন কলকাতা শহর সমগ্র দেশের মহিলাদের টার্গেট করেছে।মহিলারা লিংক ক্লিক করলেই তাঁর মোবাইলের দখল নিয়ে অশ্লীল ছবি তৈরি করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দেশজুড়ে আদায় করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা! কলকাতার একাধিক মহিলাকেও হুমকি দিয়ে ‘তোলাবাজি’র টাকা আদায় করেছে জালিয়াতরা বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ এসেছে।

কলকাতার বেশ কিছু মহিলার কাছ থেকে এই ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পর লালবাজার তদন্তে নামে। প্রথমে তামিলনাড়ুর মাদুরাই থেকে রাজ নামে এক জালিয়াতির অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে লালবাজারের সাইবার থানার পুলিশ। মাদুরাইয়ের জাল সিমকার্ডের কারবারী রাজকে জেরা করে মুম্বইয়ে হানা দেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। মুম্বই থেকে সেলিম মহম্মদ খান নামে এই জালিয়াতি চক্রের এক মাথাকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। রাজ ও সেলিমকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, শহরের বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করে জানান, সুলভে মোটা টাকা ঋণ দেওয়ার নাম করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জালিয়াতরা। হোয়াটসঅ্যাপে (Whatsapp) তাঁর মোবাইলে একটি লিংক পাঠানো হয়। সেই লিংকে ক্লিক করামাত্রই মহিলার অজান্তে তাঁর মোবাইলের দখল নিয়ে নেয় জালিয়াত। মহিলা মোবাইলে ব্যাংকের টাকা লেনদেন করেন না। কিন্তু মোবাইলের দখল হাতে থাকার সুবাদে জালিয়াতরা গ্যালারি থেকে তাঁর ছবি সংগ্রহ করে। ‘মর্ফ করে তাঁর মুখ বসিয়ে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে ওই মহিলাকে পাঠায় জালিয়াতরা। ওই ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার হুমকি দেওয়া হয়।

ক্রমাগত হুমকির জেরে মহিলা বাধ্য হয়ে একটি ই-ওয়ালেটে টাকা পাঠান। এভাবে কয়েক দফায় লক্ষাধিক টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। লালবাজারের সাইবার থানায় মহিলা অভিযোগ করার পর যে সিমকার্ড থেকে হোয়াটসঅ্যাপ করা হয়, সেগুলির মাধ্যমে শুরু হয় তদন্ত। জানা যায়, সিমকার্ডগুলি তামিলনাড়ুর। কিন্তু সেগুলি জাল বলেই সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। সেগুলি যে মোবাইলে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলির সূত্র ধরেই শুরু হয় তদন্ত। মোবাইলের আইএমইআই (IMEI) নম্বর থেকেই শনাক্ত করা হয় তামিলনাড়ুর ওই বাসিন্দাকে। সাইবার থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করে মুম্বই থেকে ধরা পড়ে সেলিম।

ধৃতরা স্বীকার করেছে যে, জালিয়াতির টাকা কোনও ব্যাংক অ্যাাকউন্টে না রেখে ক্রিপটোকারেন্সিতে পরিবর্তন করত। তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল হংকংয়ের একটি সংস্থার। ক্রিপটোকারেন্সির কারণে জালিয়াতদের ধরাও যেত না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই চক্রের সদস্যদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ