কলকাতা 

Calcutta High Court : ১১ বছর ধরে আইনি লড়াই চালানোর পর হাইকোর্টের নির্দেশে ছেলের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ পেলেন মা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : লরির ধাক্কায় মারা গিয়েছিল ছেলে। তারপর টানা ১১ বছর আদালতে লড়াই চালালেন শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ বাবদ কুড়ি লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।শুক্রবার বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের একক বেঞ্চের নির্দেশ, বিমা সংস্থাকে ৬ শতাংশ সুদ-সহ ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৬ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন পুত্রহারা মা। চার সপ্তাহের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।

২০১১ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার সিজিআর রোড ধরে যাচ্ছিলেন ২৯ বছরের শেখ মেহতাব হোসেন। সেই সময় পিছন থেকে একটি লরি এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। মাথায় গুরুতর চোট পান মেহতাব। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পশ্চিম বন্দর থানায় এফআইআর দায়ের হয়। ছেলে মেহতাবের মৃত্যুতে বিচার এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন মা সায়রা বানু। মামলায় প্রতিপক্ষ বিমা সংস্থার দাবি, দুর্ঘটনার সময় মাথায় হেলমেট পরা ছিল না মেহতাবের।

Advertisement

মেহতাব একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মচারী ছিলেন। মামলা চলাকালীন স্বামীকেও হারান সায়রা। ২০১৩ সালের ৩১ মে ছেলের ওই মামলায় আলিপুরের নিম্ন আদালত বিমা সংস্থাটিকে ৯ শতাংশ সুদে ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮১২ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই ক্ষতিপূরণের অঙ্ক কম ছিল বলে দাবি করা হয়। তাই নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আসেন সায়রা।

বিচারপতি সামন্ত এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকটি রায় পর্যবেক্ষণ করেন। সেখান থেকে তাঁর নির্দেশ, ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সি কোনও কর্মরত যুবকের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে, তাঁর বেতন বাবদ ১৭ গুণ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রেও তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ওই যুবকের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আয়ের ৫০ শতাংশ টাকা আরও দিতে হবে। ফলে সব মিলিয়ে ২০ লাখ টাকার কাছাকাছি ক্ষতিপূরণ পাবেন মা সায়রা।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ