কলকাতা 

SSC : স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভুয়ো নিয়োগ বাতিল করার পথে রাজ্য! আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ এবং অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত বিতর্কিত নিয়োগ বাতিলের পথে রাজ্য সরকার। বেশ কয়েক মাস ধরে কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসির মাধ্যমে নিয়োগকৃত নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক এবং গ্রুপ সি গ্রুপ ডি তে বেশ কিছু অনিয়ম হয়েছে বলে রায় দিয়েছে। এমনকি এই অনিয়মের সিবিআই তদন্তের রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। এ নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে টানাপোড়েন চলছে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নানাভাবে সরকার এবং এসএসসির কর্মকর্তাদের তিরস্কার করেছেন।

গত কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এসএসসির আইনজীবী দাবি করেন আদালত যদি চান তাহলে যেসব নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক উঠেছে তা বাতিল করা হবে। যদিও একক বেঞ্চ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায় নি এবং পরবর্তী মামলাগুলি আর একক বেঞ্চ এ যাবে না। তাই রাজ্য সরকার নিজেদের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল রাখার স্বার্থে নিয়োগ নিয়ে যেসব ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তার সবটাই বাতিল করার পথে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি মিলেছে।

Advertisement

আইনি প্রক্রিয়া মেনে কীভাবে জরুরি ভিত্তিতে হাই কোর্টে পরবর্তী শুনানির আগেই ভুয়ো নিয়োগের জায়গায় যোগ্যদের নিযুক্ত করা যায়, নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে শিক্ষা দপ্তর প্রাথমিক সমীক্ষা শেষ করে নবান্নকে বিস্তারিত জানিয়ে দেবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য চাইছে আইনি প্রক্রিয়া যেমন চলছে চলুক কিন্তু ভুয়ো নিযুক্তদের সরানোর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘বেআইনি’ বা ভুয়ো নিয়োগ যেগুলি চিহ্নিত হয়েছে, তাঁদের সরিয়ে ওই জায়গায় যোগ্যদের নেওয়া হবে। নিরপেক্ষভাবে সেই চিহ্নিতকরণের কাজও দ্রুত শেষ করা হবে।

রাজ্য বিষয়টিতে আর জল গড়াতে দিতে চাইছে না। আর তাই কীভাবে যোগ্যদের চাকরিতে আনা যায়, সব সিদ্ধান্ত হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। যদিও শিক্ষা দপ্তর থেকে কিছু জানানো হয়নি।

তবে নবান্ন স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, সেগুলি চিহ্নিত করা হোক। কলকাতা হাই কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগেই সেই কাজ করতে হবে। উল্লেখ্য, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ মে। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের হাতে এখনও কুড়ি দিন সময় রয়েছে। এসএসসি-র বিভিন্ন নিয়োগে বেনিয়ম সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা চলছে একই ডিভিশন বেঞ্চে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায় ২০১৬ সালে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষা হয়। নবম ও দশমে সহকারী শিক্ষক নিয়োগেও একই সালের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বিচারপতি বাগের কমিটি গ্রুপ ডি ক্ষেত্রে ৬০৯টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে বলে আদালতে নথি পেশ করেন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটিকেও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বাগের অনুসন্ধান কমিটি ‘বেআইনি’ বলে আদালতে জানিয়েছিল।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ