কলকাতা 

Nandigram: শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে গিয়েছিলেন বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজীব, এই দাবির সপক্ষে যুক্তি দিলেন জয়প্রকাশ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। আজ শনিবার এই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা বর্তমানে তৃনমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু নাকি এমনটাই জানিয়েছিলেন তাকে। আজ শনিবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাশে বসে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল নেতা রাজীব। তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করলেন সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার। নন্দীগ্রামের ভোটের ফলাফল প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, ‘‘ভোটের দিন আমাকে ফোনে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন তিনি হেরে গিয়েছেন। কিন্তু পরে কী ভাবে তিনি জিতে যান, তা জানি না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের ভোটের ফের গণনা করা হোক। তা হলেই দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়ে যাবে।’’

পাশে বসে জয়প্রকাশ যোগ করেন, ‘‘২ মে বিকেল ৫টায় আমি সাংবাদিক বৈঠক করে বলি মাননীয়া নন্দীগ্রামে জিতে গিয়েছেন। আমাদের প্রার্থী শুভেন্দু নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু পরে জানতে পারি অন্য ফল হয়েছে। শুভেন্দুকে আমি যখন বলি, তুমি তো হেরে গিয়েছিলে, আবার জিতলে কী ভাবে? জবাবে শুভেন্দু রহস্যময় হাসি হেসে বলেন, অনেক কিছু করতে হয়েছে।’’

Advertisement

তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি বিধানসভায় নন্দীগ্রামের ভোট প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, নন্দীগ্রামে তাঁকে হারাতে সমঝোতা (অ্যাডজাস্টমেন্ট) করা হয়েছিল। তবে সেই সমঝোতা কারা করেছিলেন, সে বিষয়ে তাঁর ভাষণে বিস্তারিত কিছু বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি শুধু বলেছিলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যাঁরা ষড়যন্ত্র করেছিলেন, সেই ষড়যন্ত্রকারীদের উচিত এখন মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা!’’

তার পর আবার নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিলেন রাজীব-জয়প্রকাশ।

বিধানসভা ভোটে নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নন্দীগ্রামের বিদায়ী বিধায়ক তথা বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু। ২ মে বিকেলে আচমকাই খবর চাউর হয়, নন্দীগ্রামে ১২০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা। এমনকী, মমতা জয়ী হয়েছেন ঘোষণা করে টুইটও করে সংবাদ সংস্থা এএনআই। কিন্তু তার কিছু পরে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বিজয়ী ঘোষিত হন শুভেন্দু। নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, ১৯৫৬ ভোটে শুভেন্দু জিতেছেন।

পরে বিষয়টি নিয়ে আদালতেও গিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।

গত ৩ অক্টোবর ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা সাংবিধানিক শর্তপূরণ করেছেন। কিন্তু তাতেও থেমে নেই নন্দীগ্রামের ফলাফল বিতর্ক।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ