প্রচ্ছদ 

Anish Khan : তপন দত্ত, বরুণ বিশ্বাসরা ইনসাফ পাননি আনিস পাবেন ? মমতার প্রতি আস্থা রাখুন-বিশ্বাস রাখুন বিচার পাবেন !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলাম : হাওড়া জেলার বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত বেশ কয়েক বছর আগে খুন হয়েছিলেন তাঁর দল এবং সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তপন দত্তের পরিবারকে ইনসাফ দেওয়ার কথা বলেছিলেন । নদীয়ার শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস এলাকার অসামাজিক কাজকর্মের বিরোধিতা করেছিলেন । প্রকাশ্যে খুন হয়েছিলেন , সেই খুন নিয়েও রাজ্য জুড়ে হইচই পড়েছিল সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বরুণ বিশ্বাস ইনসাফ পাবে , সময়ের বিচারে দশ বছর হয়ে গেল বরুন বিশ্বাসের খুনিরা আজো শাস্তি পায়নি । এই রাজ্যের সংখ্যালঘু বাঙালি মুসলমানরা দুহাত উজাড় করে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে । ক্ষমতায় আসার পর থেকে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন কোথায় যেন উবে গেল? নবান্ন বা রাইটার্স থেকে শুধু প্রতিশ্রুতির বন্যা কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেই । মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে , মাদ্রাসাগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে ! অনেক মাদ্রাসায় শিক্ষক নেই , আর শিক্ষক না থাকার কারণে পড়াশোনা ভাল হচ্ছে না, যে জন্য ছাত্রছাত্রী কমে যাচ্ছে দপ্তর এবং সরকার সব জেনেও চুপ করে আছে । বিগত ১৫০ দিন ধরে আলিয়ার ছাত্ররা আন্দোলন করছে সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই ।পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে সরকারের কোথাও আপত্তি থাকার কথা ছিল না , তাহলে কীসের ঔদ্ধত্যে পড়ুয়াদেরকে তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে ? বড্ড জানতে ইচ্ছা করে ।

আলিয়ার আন্দোলনের অন্যতম মুখ আনিস খানকে পুলিশ যেভাবে মেরেছে! তার বিচার কী হবে ? আমাদের মনে হয় তপন দত্তরা বিচার পাননি, বরুণ বিশ্বাসরা বিচার পাননি , আনিসের পরিণতি ওদের মতো হবে ? তবে তপন কিংবা বরুনের সঙ্গে আনিসের মৃত্যুর তফাৎ আছে। আনিসের মৃত্যুর জন্য সরাসরি পুলিশের দিকে আঙ্গুল উঠেছে ।আনিসের মৃত্যুর দিন এই খবর শোনার পর প্রথমে আমাদের বিশ্বাস হয়নি । মনে হয়েছিল কোনো দুস্কৃতি গোষ্ঠী পুলিশের পোশাক পড়ে একাজ করে থাকতে পারে ।  খুন হয়ে যাওয়ার পর আনিসের বাবা যখন আমতা থানায় ফোন করে খুনের খবর দেন , পুলিশের প্রথম উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে আসা । কিন্ত আসেনি । এই অডিও রের্কড ভাইরাল হওয়ার পরেই সাধারন মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে পুলিশ আনিসের মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে । এই ধারণা শেষ না হতে হতেই দুজনকে গ্রেফতার করা হল, যদিও তারা কেউ পুলিশ নন । একজন হোমগার্ড, অন্য জন সিভিক ভ্যালেনটিয়ার । প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন, হোমগার্ডকে সাসপেন্ড করা যায় না, কারণ পুলিশ এরা নয়, সিভিকরা তো নয়ই । তাহলে আনিসের বাবার অভিযোগ মতো যে পুলিশ তার বুকের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাজির ছিল সে কোথায় গেল ?

Advertisement

অন্যদিকে প্রাক্তন পুলিশ কর্তারা বলছেন, কে আনিসের বাবার বুকের সামনে পিস্তল ধরে ছিল তাকে চিহ্নিত করতে পুলিশ অফিসারদের ৫ মিনিট সময় লাগার কথা । মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আনিস বিচার পাবেন । কোনো দোষীকে ছাড়া হবে না । আমাদের আনিসের বাবার বুকের সামনে যে পুলিশ কর্মীটি আগ্নেয়াস্ত্র ধরে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকে কেন এখনও গ্রেপ্তার করা হলো না ? যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা সেই ব্যক্তি নন, আনিসের বাবা একথা বলার পরেও কেন সেদিনের সেই ব্যক্তিকে সামনে আনা হলো না ? অন্যদিকে, ওসির নির্দেশ ছাড়া কোনো পুলিশের লোক রাতের বেলা কারও বাড়িতে যেতে পারে না এটা সহজ সত্য কথা , এটাই নিয়ম । তাহলে ওসিকে কেন ছুটিতে পাঠানো হলো, গ্রেপ্তার না করে ? বাংলার মানুষ জানতে চায় !

শেষে বলবো, তপন দত্ত, বরুণ বিশ্বাসরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আজো বিশ্বাস রাখেন ! আপনারা থুড়ি আমরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখছি , তিনি অবশ্যই আনিসের বাবাকে ইনসাফ পাইয়ে দেবেন ! বিশ্বাস করা শক্ত , তবু আস্থা তো রাখতেই হবে , দিল্লিতে মোদী আর রাজ্যে দিদির দয়াতেই এই দেশের মুসলিমদের বাঁচতে হবে ! জয় মমতার জয় !


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ