কলকাতা 

৯৬ ঘন্টা কেটে গেলেও আনিস খান খুনের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ, রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে!

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ছাত্রনেতা আনিস খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন আততায়ীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি হাওড়া পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশের ব্যর্থতা পরপর সামনে আসছে। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই আনিসের বাবা ফোন করেছিলেন আমতা থানার সেই ফোন রেকর্ড ভাইরাল হয়ে গেছে। শিফন রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে আনিসের বাবা সমগ্র ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশকে জানানোর পরও পুলিশ নানা অজুহাতে ঘটনাস্থলে আসতে চাইনি। কেন ঘটনাস্থলে আসতে চাইলেন না পুলিশ সেই বিচারটা কে করে এই প্রশ্নটা করতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে? পশ্চিম বাংলার ইতিহাসে এই প্রথম কোন ঘটনা ঘটলো যেখানে পুলিশের পোশাক পড়েছে একজন নিরক্ষর নাগরিককে খুন করা হয়েছে তারপরেও রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে!

এদিকে এ ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে এই রহস্য মৃত্যু তদন্ত করার জন্য স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার জন্য আবেদন করার জন্য হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি। দুপুর ২টোয় লিখিত পিটিশন জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের।

Advertisement

এদিকে পুলিশের ব্যর্থতা ঢাকতে আনিসের বাবার সঙ্গে দেখা করলেন ডিএসপি ডিএনটি সুব্রত ভৌমিক। নিহতের বাবা সালাম খানের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

গত শুক্রবার  গভীর রাতে হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনজন। একজনের পরনে ছিল খাকি উর্দি। ছাত্রনেতার পরিবারের দাবি, তাঁরা নিজেদের আমতা থানার পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছিল। এদিকে পুলিশের তরফে রবিবার সকাল পর্যন্ত বারবার দাবি করা হয়েছে, পুলিশের কোনও টিম শুক্রবার রাতে যায়নি আনিসের বাড়িতে। রবিবারই ভাইরাল হয় একটি অডিও ক্লিপ। তাতে আমতা থানার পুলিশের সঙ্গে আনিসের বাবা সালাম খানের কথোপকথন শোনা যায়। যদিও সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি ।

একে তো পুলিশ পরিচয় দিয়েই আততায়ী বাড়িতে এসে ছেলেকে খুন করে, তার উপর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে গরমিলের অভিযোগ তাই পুলিশের উপর আস্থা রাখতে নারাজ আনিসের পরিবার। সিবিআই তদন্তের দাবিতেই অনড় তাঁরা। এদিকে, সোমবার সকালে আনিসের বাড়িতে পৌঁছন ডিএসপি ডিএনটি। সঙ্গে ছিলেন আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী।

ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন নিহত ছাত্রনেতার বাবার সঙ্গেও। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের সঙ্গে ফরেনসিক বা অন্যান্য রিপোর্টের মিল না পাওয়া গেলে প্রয়োজনে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হবে।

এদিকে, ঘটনার পর তিন দিন কেটে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কীভাবে মৃত্যু হল ওই ছাত্রনেতার? কে বা কারা খুন করল তাঁকে, সে জট কাটেনি এখনো।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ