দেশ 

Bihar : রেলের পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বিক্ষোভ এবং যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগালো আন্দোলনকারীরা এনডিএ শাসিত বিহারের ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: রেলের পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে রণক্ষেত্রে চেহারা নিল বিহার। পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সেখান থেকে হিংসাত্মক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি আন্দোলনকারীরা যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।বিক্ষোভে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিহারের আরা ও জেহানাবাদ স্টেশনেও। ভাঙচুর চালানো হচ্ছে একাধিক স্টেশনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ার গ্যাস ও লাঠি চার্জ করেছে পুলিশ।

এদিকে পুলিশকে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে এসেছে ট্রেনে আগুন লাগানোর ভিডিও, সেই ভিডিও দেখে তদন্ত নেমেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। এদিন গয়া স্টেশনে একটি ট্রেন ভাঙচুর করে ইঞ্জিন ও কয়েকটি কামরায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় নতুন করে।

Advertisement

মঙ্গলবার থেকেই বিহার রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চাকরিপ্রার্থীরা প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। গতকাল থেকে ওই প্রতিবাদে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই চাকরিপ্রার্থীরা ইতিমধ্যে রেলের চাকরির পরীক্ষা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, যে ফল প্রকাশ করা হয়েছে তা দুর্নীতিতে ভরা।

উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শয়ে শয়ে চাকরিপ্রার্থী পাটনার রাজেন্দ্রনগর টার্মিনালের কলকাতা-নিউ দিল্লি লাইন অবরুদ্ধ করে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর পুলিশ ব্যবস্থা নিতে এলে তাদের দিকে পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ।

গতকালকের ঘটনায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। খবর পান পাটনার জেলাশাসক ড. চন্দ্রশেখর সিং। তিনি বলেন, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে দোষীদের বিরুদ্ধে।যদিও নতুন করে আন্দোলনের আগুন ছড়িয়েছে জেহানাবাদ ও গয়া স্টেশনে।

রেলের সিবিটি ১ ((RB NTPC CBT 1) পরীক্ষা ফল প্রকাশিত হয়েছে গত ১৫ জানুয়ারিতে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী সিবিটি ২ (CBT 2) পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এই ফলেই গরমিলের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।বস্তুত এই চাকরিপ্রার্থীরা এর আগে তুমুল বিক্ষোভ দেখান পাটনার রাজেন্দ্রনগরে। বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে দিল্লি- কলকাতা রেলপথ। একের পর এক ট্রেন বিক্ষোভের জেরে থমকে যায়। আর এদিন ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা ব্যাপক ভাঙচুর চালান সেখানে। সকাল থেকে অবরোধ চলে পাটনা- গয়া রেলপথে।

ঘণ্টাখানেক ঝামেলার পর ক্রমশ থিতু হয় আন্দোলন। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে এই বিক্ষোভের কথা তুলে ধরে বিহার সরকার এবং কেন্দ্রকে একসঙ্গে বিঁধেছেন রাহুল গাঁধী। এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘প্রত্যেক যুবকের অধিকারের জন্য আওয়াজ তোলার স্বাধীনতা রয়েছে। আর এটা যাঁরা ভুলে যান, তাঁদের মনে রাখা উচিত, দেশে এখনও লোকতন্ত্র আছে, গণতন্ত্র ছিল, গণতন্ত্র থাকবে।’


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ