জেলা 

সাঁওতালি ভাষায় সাহিত্যচর্চার অবদানের জন্য পদ্মশ্রী পেলেন ঝাড়গ্রামের কালিপদ সোরেন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : সাঁওতালি ভাষার সাহিত্য চর্চার অবদানের জন্য এবার পদ্মশ্রী সম্মানে পেলেন ঝাড়গ্রামের সাঁওতালি ভাষার কবি-সাহিত্যিক কালীপদ সোরেন। তিনি খেরোয়াল সোরেন নামেই জনপ্রিয়। ২০০৭ সালে নাটক ‘চেৎরে চিকেয়েনা’র জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার এবং ২০১৯ সালে দিল্লি থেকে অনুবাদ পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

দিব্যেন্দু পালিতের লেখা ‘অনুভব’ গল্পটি অনুবাদ করেছিলেন কালীপদবাবু। তিনি সাঁওতালি ভাষায় অলচিকি হরফে তাঁর সাহিত্য সৃষ্টি করেন। তিনি সাঁওতালি ভাষায় ৩১ টি নাটক লিখেছেন, কবিতার বই রয়েছে ৪টি, গল্প সংকলন ২টি, রম্য রচনা ১টি, গল্পের বই ১টি। নিজের লেখা সুর করা গানের ক্যাসেট রয়েছে ৫টি, রেডিও নাটক ৬টি রয়েছে তাঁর। রাজ্য স্তরে সারদাপ্রসাদ কিস্কু স্মৃতি পুরস্কার-সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।

Advertisement

এবার পদ্মশ্রী সম্মান পাওয়া প্রসঙ্গে কালীপদ সোরেন বলেন, “পেয়েছি কি না, জানি না। তবে সকালে দিল্লি থেকে আমায় ফোন করে জানতে চাওয়া হয়েছিল আমি পদ্মশ্রী সম্মান নিতে ইচ্ছুক কি না। আমি জনিয়ে ছিলাম জঙ্গলমহলের লেখক হিসেবে এই পুরস্কার নিতে ইচ্ছুক। এছাড়া মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর থেকে আমাকে ফোন করে আমি কালীপদ সোরেন কি না চানতে চাওয়া হয়েছিল।”

উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালে রঘুনাথপুরে তাঁর জন্ম। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। তাঁর সৃষ্টির মধ্যে ‘খেরওয়াল কো ডিশা কাটে’, বাহামনী, থারি ডাকারে মেট ডাক, সেরেঞ আকালারে খেরওয়াল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ত্রিমাসিক পত্রিকা ‘খেরওয়াল জাহের’-এর সম্পাদনাও করেন।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ