কাঁথিতে আক্রান্ত বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ , অভিযোগের তীর তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারির দিকে , এটা বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল দাবি দাবি সাংসদের
বিশেষ প্রতিবেদক : এবার কাঁথির রাস্তায় আক্রান্ত হলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষসহ বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের প্রায় ১৫টি গাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি সভাপতির গাড়িরও কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। এমনকী দিলীপ ঘোষ নিগৃহীতও হন। এই হামলার ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে দিলীপ ঘোষ বলেন,তমলুকের সাংসদের উপস্থিতিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার সময় সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলেও অভিযোগ তাঁর। এমনকী তিনি বলেন, পুলিশের সামনেই তৃণমূলের পতাকা নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ সক্রিয় হলে বিজেপি কর্মীদের এভাবে রক্ত ঝরত না।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, দিদি তো বলেন, ভারতে গণতন্ত্র নেই। কিন্তু বাংলায় কি গণতন্ত্র রয়েছে? তাহলে কি এই সেই গণতন্ত্রের নমুনা! এই কি গণতন্ত্রের চিত্র! যেখানে সভা-সমিতি করা যায় না। আমরা তো কোনও পাবলিক মিটিংও করতে যাচ্ছিলাম না, আমরা হাউস মিটিংয়ে যাচ্ছিলাম। তারপরও হামলা চালানো হল। গাড়ি ভাঙচুর করা হল। আমাদের পাঁচজন গুরুতর জখম হয়েছেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনোভাবেই যুক্ত নয়, এসব বিজেপির অন্তর্কলহের ফল। ওঁদের মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের অন্দরেই ঝামেলা রয়েছে। তার ফলস্বরূপ এই ঘটনা ঘটেছে। আর দিলীপবাবু তো কথায় কথায়, মেরে দেব ফাটিয়ে দেব, গর্তে পুতে দেব- এসব মন্তব্য করে বেড়ান। তার ফল ভুগছেন এখন। এখানে তো স্থানীয় পথচারী, যাত্রী, দোকানদার-ব্যবসায়ীরাও মার খেলেন, তাঁদের ক্ষয়ক্ষতি হল। এর কী জবাব দেবেন তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার কাঁথিতে বিজেপির একটি কর্মিসভা ছিল। সেখানেই যাচ্ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দিলীপ ঘোষকে কালো পতাকা দেখানোর সময় বিজেপি কর্মীরা টিপ্পনি কাটে। সেই মুহূর্তেই আগুন জ্বলে ওঠে। রণক্ষেত্রের রূপ নেয় কাঁথি।