দেশ 

সাত মাস বন্দি থাকার পর ; পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন ফারুক আবদুল্লাহ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : শুক্রবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে , জনসুরক্ষা আইনে তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছিল, শনিবার ছেলে ওমর আবদুল্লার  সঙ্গে শ্রীনগরের উপ-সংশোধনাগারে দেখা করেন তিনি। শুক্রবার মুক্তির পরেই, ছেলে ওমর আবদুল্লা সঙ্গে দেখা করার জন্য  জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের থেকে অনুমতি চান তিনি, দুজনেই সাতমাস আগে আটক করা হয়।

এদিন শ্রীনগরের বাড়ি থেকে হরি নিবাসে গিয়ে ছেলের সঙ্গে দেখা করেন ফারুক আবদুল্লা। দুজনকে একে অপরকে উষ্ণ আলিঙ্গন করেন বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। এর আগে নিজের বাবা শেখ আবদুল্লার সমাধিস্থলে যান ফারুক আবদুল্লা, শ্রীনগরের ডাল লেক সংলগ্ন এলাকায় বাবার সমাধিস্থলে যান তিনি।

Advertisement

শেখ আবদুল্লার সমাধিস্থলে যাওয়ার সময় ফারুক আবদুল্লার পরণে ছিল কালো কুর্তা, টুপি ও রোদ চশমা, সেখানে তাঁর সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে স্ত্রী মইলি এভং নাতি আদিম। ছাড়া পাওয়ার পরেই, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, ফারুক আবদু্ল্লা বলেন, “ আমাদের জন্য যাঁরা প্রার্থনা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ”, তবে এও বলেন, “মুক্তি সম্পূর্ণ হয়নি”।

জম্মু ও কাশ্মীরের বর্ষীয়ান এই নেতা তথা  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মুক্তি তখনই সম্পূর্ণ হবে, যখন সমস্ত নেতানেত্রী ওমর, মেহবুবা, যাঁরা রাজ্যে এবং রাজ্যের বাইরে জেলে রয়েছেন তাঁরা মুর্তি পাবেন। আমার আশা, সরকার খুব দ্রুত পদক্ষেপ করবে”।

ছেলের সঙ্গে দেখা করে, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে দেখা করেন ফারুক আবদুল্লা, একাধিকবার ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মু্ক্তির আটক নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রশ্নবাণ ছুঁড়েছেন গুলাম নবি আজাদ।

৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বা বিশেষ রাজ্যের  মর্যাদা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার, তার আগেই আগেই ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে আটক করা হয়। এখনও হেফাজতেই রয়েছেন ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি এবং তাঁদের বিরুদ্ধে জনসুরক্ষা আইন লাগু করা হয়েছে। জনসুরক্ষা আইনে “সরকারি আইন লঙ্ঘনের” অভিযোগ আনা হয়েছে ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে।

সাধারণত এই জনসুরক্ষা আইন কার্যকর করা হয় কোনও জঙ্গির বিরুদ্ধে, এই প্রথমবার এই আইন লাগু করা হয়েছে কোনও মূলধারা রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে সাংসদ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী । জন-সুরক্ষা আইনের আওতায় কোনও ব্যক্তিকে আটক করা হলে,কোনও বিচার ছাড়াই তাঁকে তিনমাস আটক করে রাখা যায়। পরে সেই মেয়াদ আরও বাড়ানো যায়।

৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন উপত্যকার এই বর্ষীয়ান নেতা। ফারুক আবদুল্লার অভিযোগ, তাঁকে আটক করা হয়নি বলে সংসদে মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

18 − fourteen =