কলকাতা 

আইন ভঙ্গের জরিমানা এবং পথ করে জোড়া ছাড় ঘোষণা পরিবহণ দপ্তরের

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : বকেয়া ট্র্যাফিক জরিমানা আদায় করতে রাজ্য সরকার ফের এককালীন ছাড় অথবা ‘ওয়ান টাইম ট্র্যাফিক সেটলমেন্ট স্কিম’ চালু করেছে । ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া ট্র্যাফিক আইনভঙ্গের জরিমানা ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে মেটালে ৫০ শতাংশ ছাড় মিলবে বলে পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। কয়েক দফায় ওই জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার সুযোগও মিলবে ওই প্রকল্পে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে । আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে রোড ট্যাক্স বাবদ বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিলে জরিমানা বাবদ কোন টাকা গুনতে হবে না বলেও জানানো হয়েছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়মতো রোড ট্যাক্স না দেওয়ায় যে জরিমানা হয়েছিল, তা ১০০ শতাংশ মকুব করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে শুভেন্দু অধিকারীর দফতর।
পরিবহন দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, রোড ট্যাক্স বাবদ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। জরিমানা মকুব করে দেওয়ায় বেসরকারি ও বাণিজ্যিক উভয় গাড়ি মালিকরাই রোড ট্যাক্স মিটিয়ে দিতে উদ্যোগী হবেন বলে তাঁরা আশাবাদী ।পাশাপাশি, মোটর ভেহিক্যালস আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রেও জরিমানা মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন দফতর। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, মোটর ভেহিক্যালস আইনের ধারা লঙ্ঘনের জন্য যে জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল, ৩১ মার্চের মধ্যে তা জমা দিলে ৫০ শতাংশ জরিমানা মকুব করা হবে।নবান্ন সূত্রের খবর, গাড়ির মালিকরাই অনেক ক্ষেত্রেই জরিমানা বাবদ টাকা দিতে যেমন গড়িমসি করেন, তেমন জরিমানার জন্য রোড ট্যাক্স দেন না। কিন্তু রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী। এই পরিস্থিতিতে রোড ট্যাক্স ও জরিমানা বাবদ অর্থ সরকারের কোষাগারে ঢুকলে টানাটানি কিছুটা হলেও কমবে। তাই জোড়া অফারের ঘোষণা করা হয়েছে।

দফতর সূত্রে খবর এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সিএফ জরিমানার টাকা আদায় হয়েছে। আর এতে লাভ হচ্ছে পরিবহন দফতরের। কিন্তু পরিবহন দফতরের আসল উদ্দেশ্য ছিল সিএফের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ দিয়ে, আসলে কত সংখ্যক গাড়ি ব্যবহারকারীর রোড ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে তা জেনে নেওয়া। ফলে অনেকেই এসেছিলেন, সিএফের টাকা মেটাতে, যদিও রোড ট্যাক্স বকেয়া থাকলে সিএফ টাকা মেটানো নিয়ম অনুযায়ী হয় না। ফলে এক ঢিলে দুই পাখি মেরে সিএফ ও রোড ট্যাক্স বাবদ জরিমানার বকেয়া টাকা রাজ্য আদায় করে নিচ্ছে।

Advertisement

রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে খুশি বাস মালিকরা। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নানা কারণে ব্যবসায় খরচের পরিমাণ বাড়ছে। ভাড়া বৃদ্ধি হয়না। এই অবস্থায় ওয়েভার স্কিম অবশ্যই আমাদের কাজে লাগবে। এই বিষয়ে সহমত পোষণ করছে লরি ও ট্যাক্সি সংগঠনের প্রতিনিধিরাও।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ