আলিমে দ্বিতীয়কে সংবর্ধনা দিলেন দ: ২৪ পরগনা স্কুল পরিদর্শক জয়ন্তী জানা
মতিয়ার রহমান : কয়েকদিন আগে রাজ্যে মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা পর্ষদের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবারে মাধ্যমিক সমতুল্য আলিম পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নুরুন্নবী সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র ইরফান হোসেন তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৬০। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার খেরিয়া সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র রায়হান পিয়াদা ৮৪৩ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। হুগলি জেলার নাগার নাসিরুল উলুম সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র ইরফান মন্ডল ৮৩৬ নম্বর পেয়ে তৃতীয় হয়েছে। ৭ই মে মঙ্গলবার আলিপুরের ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর অফ স্কুল এর অফিসে বেলা দুইটাই খোদ দ: ২৪ পরগনা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মাননীয়া জয়ন্তী জানা আলিম পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী খেড়িয়া সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র রায়হান পিয়াদা কে পরীক্ষায় তার অসাধারণ সাফল্যের জন্য পুষ্প, মিষ্টি ,কলম ও উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধনা দেন। এরপর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জয়ন্তী জানা এবং মাদ্রাসার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টর মোজাম্মেল হক পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ড. সেক আবু তাহের কামরুদ্দিন মহাশয় এর দেওয়া শুভেচ্ছা পত্র রায়হান পিয়াদার হাতে তুলে দেন।এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক তথা পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আবু সুফিয়ান, চম্পক নাগ এবং মতিয়ার রহমান। বিদ্যালয় পরিদর্শক জয়ন্তী জানা বলেন রায়হান পিয়াদা তার অভিভাবক, মাদ্রাসা এবং সেই সাথে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাই ওর জন্য আজ আমরা সকলেইগর্ব বোধ করি।তিনি আরো বলেন রায়হান পিয়াদা যে খেরিয়া সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করে সাফল্য অর্জন করেছে সেই মাদ্রাসার ই শিক্ষক তার পিতা মোঃ নুর হোসেন পিয়াদা। এমন উদাহরণ বিরল এবং সচরাচার দেখা যায় না বললেই চলে। তবে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষক পিতার সাহচার্যে থেকে পড়াশোনা করে আলিম পরীক্ষায় এরকম অসাধারণ রেজাল্ট করে মাদ্রাসা সম্পর্কে মানুষের ধারণাকে পাল্টে দিয়েছে এবং মাদ্রাসার শিক্ষকদের জন্য এক বার্তাও বটে। শেষে রায়হান পিয়াদার অসাধারণ কৃতিত্বের স্বীকৃতি দিয়ে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তিনি আশীর্বাদ করেন।শিক্ষক নেতা আবু সুফিয়ান বলেন আগামী দিনে যাতে জেলা থেকে আরো বেশি বেশি ছাত্র-ছাত্রী মেধা তালিকায় আসতে পারে সেই জন্য মানসম্পন্ন পড়াশোনা কে পাখির চোখ করেআমাদেরজেলারশিক্ষক-শিক্ষিকাদের সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। শিক্ষক তথা শিক্ষক নেতা মতিয়ার রহমান বলেন, আমাদের রাজ্য সভাপতি এ কে এম ফারহাদ জানিয়েছেন ,শুধু রায়হান পিয়াদা নয় সারা রাজ্যে রায়হান পিয়াদার মত মেধা সম্পন্ন যত ছাত্র-ছাত্রী আছে তারা পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোন রকমের বাধাবিপত্তি এবং আর্থিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা তৃণমূল শিক্ষক সংগঠন সর্বদা তাদের পাশে থাকবে।