দেশ 

‘‘বিজেপি সরকার ভিন্নমতকে চেপে দিতে নিষ্ঠুর শক্তি প্রয়োগ করছে। গণতন্ত্রে এটা গ্রহণযোগ্য নয়।” : সোনিয়া গান্ধী

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে এবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী । তিনি অভিযোগ করেছেন ,নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সরকারের ‘‘নিষ্ঠুর অবদমন এই বিষয়ে দেশজুড়ে প্রবল গণ আন্দোলনে মানুষের কণ্ঠস্বরকে অবহেলা করা হচ্ছে । দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার ভিন্নমতকে চেপে দিতে নিষ্ঠুর শক্তি প্রয়োগ করছে গণতন্ত্রে এটা গ্রহণযোগ্য নয়তিনি বলেন, ছাত্র, যুব সাধারণ নাগরিকদের উপরে সরকারের নিষ্ঠুর অবদমনের বিষয়ে তাঁর দল গভীর যন্ত্রণা প্রকাশ করছে তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে মানুষের অধিকার থাকে ভুল সিদ্ধান্ত সরকারের ভুল নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার এবং তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি এটা সরকারেরও দায়িত্ব নাগরিকদের কথা শোনা এবং তাদের উৎকণ্ঠা প্রকাশের তিনি আরও বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বৈষম্যমূলক এবং প্রস্তাবিত দেশব্যাপী এনআরসি গরিব মানুষকে আহত করবে

নোটবন্দির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘নোটবন্দির সময়ের মতো তাদের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়তে হবে তাদের এবং তাদের পূর্বপুরুষদের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য। জনগণের আশঙ্কা বাস্তব এবং বৈধ। কংগ্রেস পার্টি দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করে যে তারা মানুষের পাশে দাঁড়াতে তাদের মৌলিক অধিকারকে রক্ষা করতে এবং আমাদের সংবিধানের প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যকে সমুন্নত করতে দায়বদ্ধ।

Advertisement

তিনি আরও জানান, তাঁর দল পড়ুয়াদের পাশেও দাঁড়াচ্ছে কংগ্রেস নাগরিকত্ব আইন এনআরসির বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছেউল্লেখ্য , সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সমগ্র দেশে যে গণ-আন্দোলন শুরু হয়েছে তা থেকে পরিত্রাণের রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি সরকার । একইভাবে এই গণ-আন্দোলন দমন করার জন্য যেভাবে পুলিশি নির্যাতন চালানো হচ্ছে তাকে নিষ্ঠুর বলা ভুল হবে তাকে অমানবিক বলা যেতে পারে । আজ শুক্রবার বিক্ষোভ প্রদর্শণ করতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে যোগীর রাজ্যে ৬ জন বিক্ষোভকারীকে গুলি করে মেরেছে পুলিশ বলে অভিযোগ । এই প্রেক্ষাপটে কংগ্রেস সভানেত্রীর আজকের বিবৃতি গুরুত্বপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে ।

প্রসঙ্গত, নতুন নাগরিকত্ব আইনে ২০১৫ সালের আগে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে এদেশে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সুযোগের কথা বলা হয়েছে। এই আইনের ফলে প্রথমবার ধর্মের ভিত্তিতে ভারতের নাগরিকত্বের কথা বলা হয়েছে। সরকারের দাবি, এই নতুন আইনে অন্য দেশে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার নাগরিকরা এদেশের নাগরিকত্ব পেতে পারবেন। সমালোচকদের দাবি, এই আইন বৈষম্যমূলক। এটি সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ নীতিকে লঙ্ঘন করছে


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

1 × 3 =