কলকাতা প্রচ্ছদ 

মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে পরিচালন সমিতির সম্মতি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিল কমিশন, চলতি সপ্তাহেই বিজ্ঞপ্তি জারি করছে কমিটিও

শেয়ার করুন
  • 68
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের ভিত্তিতে পরিচালন সমিতিকে গুরুত্ব দিয়েই মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট
উল্লেখ রয়েছে, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত যে সমস্ত মাদ্রাসা কমিশনের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করতে ইচ্ছুক, তাদের ৮ জুনের মধ্যে কমিশনে আবেদন করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে ডাইরেক্টরেট অফ মাদ্রাসা এডুকেশন’র (ডিএমই) কাছেও আবেদনের অনুলিপি জমা দিতে হবে। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে কমিশন। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের সহমতেই ২০১৪ সালের প্যানেলটি তৈরি হয়েছে।

কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি

Advertisement

 

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরেই কাঁথি রহমানিয়া সহ বেশ কয়েকটি মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ও ৩ মার্চ ২০১৬-য় রাজ্য সরকার মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগে যে গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিল, সেই নির্দেশিকা
অনুযায়ী পরিচালন সমিতিও চলতি সপ্তাহেই সহকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। পরিচালন সমিতির পক্ষের আইনজীবী আবু সোহেল এসম্পর্কে বলেন, ‘ সমস্ত মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির কাছে অনুরোধ, নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করবেন না। ৩ মার্চ ২০১৬-য় রাজ্য সরকার যে নির্দেশিকা জারি করেছিল তাকে মান্যতা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই গাইডলাইন অনুযায়ী মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করুন। যদিও অনেকের বক্তব্য ৩ মার্চ ২০১৬ -য় রাজ্য সরকার যে নির্দেশিকা জারি করেছিল তা বাতিল করেছে রাজ্য। এ প্রসঙ্গে আবু সোহেল প্রশ্ন তোলেন, ৩ মার্চের নির্দেশিকা যদি বাতিল হয়ে থাকে, তাহলে সুপ্রিম কোর্ট ঐ নির্দেশিকাকে কেন গুরুত্ব দিল? সরকারি আইনজীবী আদালতে কেন জানালো যে ৩ মার্চের নির্দেশিকা অনুযায়ী যোগ্যতার ভিত্তিতে যে সমস্ত মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি শিক্ষক নিয়োগ করেছিল তাদের বেতনের ব্যবস্থা করবে রাজ্য। তাঁর মতে, ৩ মার্চের নির্দেশিকা বাতিল হয়েছে বলে যে প্রচার করা হচ্ছে তা মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। ৩ মার্চের নির্দেশিকা এখনও বাতিল করেনি সররকার।
যেটা হয়েছিল, ডাইরপক্টরেট অফ মাদ্রাসা এডুকেশনের তরফে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছিল। যাতে বলা হয়েছিল, ৩ মার্চের নির্দেশিকা অনুযায়ী যদি কোনো মাদ্রাসা পরিচালন কমিটি শিক্ষক নিয়োগ করে তাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে সরকার। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর ডিএমই’র ইস্যু করা ওই চিঠির কোনও মূল্য নেই। তাই কোনও মাদ্রাসা পরিচালন সমিতি চাইলে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মে সুপ্রিম কোর্টে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত মামলার একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেয় বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ। যাতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করতে ইচ্ছুক তারা ২০১৪ সালের প্যানেল থেকে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে। তবে মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ হলেও তাদের নিয়োগের স্থায়িত্বের বিষয়টি শীর্ষ আদালতের চূড়ান্ত রায়ের ওপর নির্ভর করবে। রায়ে আরও বলা হয়েছে, আদালতের পরবর্তী রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কমিশন শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবেনা। এছাড়া ৩ মার্চের গাইডলাইন অনুযায়ী পরিচালন সমিতি মাদ্রাসাগুলিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে যে সমস্ত শিক্ষক নিয়োগ করেছিল, আগামী দু’মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে তাদের বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে। শীর্ষ আদালতে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১২ জুলাই।


শেয়ার করুন
  • 68
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

11 + seven =