পঞ্চায়েতেও বিজেপির উত্থান লক্ষণীয়,লোকসভায় নতুন চমক সৃষ্টি করবেন দিলীপ-মুকুল জুটি!
বুলবুল চৌধুরি
বাংলার জনরব নিউজ পোর্টাল প্রথম বলেছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসছে বিজেপি। এই সংবাদ আমরা করার পর থেকে বেশ কিছু মানুষ আমাদের সর্ম্পকে নানা বিরুপ মন্তব্য করতে থাকে। তারা যেহেতু আমাদের পাঠক তাই তাদের মন্তব্য সর্ম্পকে আমরা কোন পাল্টা মন্তব্য করিনি। কিন্ত যা বাস্তব তাকে তুলে ধরা সংবাদ-মাধ্যমের প্রধান দায়িত্ব এবং কর্তব্য সেই দায় থেকেই সাদাকে সাদা এবং কালোকে কলো বলতে আমরা কোন দ্ধিধা করিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমরা যা বলেছিলাম তা ফল বের হওয়ার পর প্রমাণিত হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের দিন থেকে যেভাবে রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস ও অশান্তি হয়েছে তা আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনগুলিতে দেখা যায়নি। এত অশান্তি সত্ত্বেও বিজেপি এবার গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫৭৪০টি আসন পেয়ে স্বাধীনতার পর এরাজ্যে তার রের্কড সংখ্যক আসন পেল।
পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে মাত্র ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের ফলে বিজেপি ৫০০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে এগিয়ে ছিল। আর ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত সন্ত্রাস সত্ত্বেও বিজেপি ৫৭৪০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন দখল করে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে।মাত্র দু বছরের ব্যবধানে ১১গুণ পঞ্চায়েত আসনে এগিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহল বলছে,ভোট শান্তিপূর্ণ অবাধ হলে বিজেপি তো বটেই বিরোধীদের ফল আরও ভাল হত। তা সত্ত্বে পঞ্চায়েতে বিজেপি যে অভাবনীয় ফল করেছে তার ধারাবাহিকতা যদি বজায় থাকে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালের ভাঁজ আরও চাওড়া হবে।
তাই এই ফল দেখেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেই দিয়েছেন,লোকসভা নির্বাচনে নতুন করে বাংলায় পরিবর্তন আসবে। বাংলায় সত্যিই ২০১৯ -এ পরিবর্তন আসবে কিনা তা ভবিষ্যতই বলবে,তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলের ধারাবাহিকতা যদি এভাবে বজায় থাকে তাহলে দিলীপ-মুকুলরা যে লোকসভা নির্বাচনে মমতাকে ধাক্কা দেবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ,এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সত্যিকার ভোটাধিকার থেকে কয়েক কোটি মানুষ বঞ্চিত হয়েছে তারা যদি আগামী লোকসভায় ভোট দানের সুযোগ পায় তাহলে হিতে-বিপরীত হতে পারে। তাই পঞ্চায়েত ফল নিয়ে খু্ব বেশি উচ্ছ্বাস তৃণমূল না দেখালেই ভাল। কঠিন পরীক্ষা ২০১৯। এখানে এ রাজ্যে বিজেপিকে আটকাতে পারলে তাবেই মঙ্গল না হলে বিজেপি-র আগ্রাসন রোধ করা আর যাবে না।