ধেয়ে আসছে ভয়াবহ সাইক্লোন ‘ বায়ু ‘ , আগামী কাল আছড়ে পড়বে গুজরাট উপকূলে , বন্ধ স্কুল-কলেজ , প্রস্তত নৌবাহিনী , আধা সামরিক বাহিনী ও গুজরাট প্রশাসন
বাংলার জনরব ডেস্ক : গভীর নিম্নচাপের ফলে ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’র ভয়াবহ সাইক্লোনে পরিণত সৃষ্টি হয়েছে লক্ষদ্বীপের কাছে, আরব সাগরে।তা দ্রূত এগিয়ে চলেছে উত্তর দিকে। তা আগামী কালই আছড়ে পড়বে গুজরাট উপকূলে যার গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। মৌসম ভবন সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সর্তকতা জারি করা হয়েছে গুজরাটের উপকূল এলাকায়। কচ্ছ থেকে শুরু করে দক্ষিণ গুজরাটের একটি বিস্তীর্ণ এলাকা পড়ছে সেই উপকূলে। সেখানে আগাম সর্তকতা হিসেবে স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে গুজরাতে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে কেরল ও কর্নাটক উপকূল এবং লক্ষদ্বীপের মৎস্যজীবীদের। বুধ ও বৃহস্পতিবার সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে গুজরাত উপকূলের মৎস্যজীবীদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার জানান, ‘বায়ু’ আছড়ে পড়ার পর কী কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, ইতিমধ্যেই সেই সব খতিয়ে দেখা হয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার পোরবন্দর এবং মাহুবার মাঝামাঝি কোথাও আছড়ে পড়বে। রাস্তা থেকে শুরু করে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশঙ্কা রয়েছে বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার। বুধবার সকালে বিমানবাহিনীর ‘সি-১৭’ বিমানে চাপিয়ে জামনগরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) আধিকারিক ও উদ্ধার কর্মীদের। বায়ু আছড়ে পড়ার পর তাঁরা নেমে পড়বেন উদ্ধার কাজে। বিএসএফকেও উদ্ধার কাজে লাগানো হবে বলে গুজরাত প্রশাসন সূত্রে খবর। গুজরাত এবং দমন-দিউ মিলিয়ে মোট তিন লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মোট ৭০০টি কেন্দ্রে।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি দ্বারকা ও সোমনাথে থাকা পর্যটকদের বুধবার বিকেলের মধ্যেই অন্যত্র চলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। পর্যটকদের সাহায্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহন সংস্থাগুলোকে। টুইট করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’ গুজরাতের দিকে এগোচ্ছে। আমি কংগ্রেসের সব কর্মীকে অনুরোধ করছি আপনারা মানুষের পাশে থাকুন।’’