নির্বাচন কমিশন তৃতীয় দফাতেও অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে পারল না , সংঘর্ষে মারা গেল এক কংগ্রেস সমর্থক
বাংলার জনরব ডেস্ক : সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করার প্রতিশ্রতি দিয়েছিল কমিশন । কিন্তু দুটি দফায় না হলেও এবার তৃতীয় দফায় রক্ত ঝরা বন্ধ করতে পারল না পুলিশ-প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটকেন্দ্র থেকে খানিক দূরে দুই দলের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে প্রাণ গেল এক ভোটারের। আর এক ভোটকর্মীরও রহস্যমৃত্যু ঘটল একই দিনে।
মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে একজনের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি কংগ্রেস সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় গুরুতব আহত হয়েছেন আহত দুজন। তাদের বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এঁদের একজন কংগ্রেস ও একজন তৃণমূলের বলে জানা গিয়েছে।
সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল ভগবানগোলার বানিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮৮ নম্বর বুথ। সকাল থেকেই বুথ জ্যামের অভিযোগ ছিল। অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্ত যান জেলাশাসক। কিন্তু জেলাশাসক চলে যাওয়ার পরেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে তৃণমূল হামলা চালায়। পরে ঝাঁপিয়ে পড়ে কংগ্রেস। কংগ্রেস সমর্থক আব্দুল কালাম টিয়ারুল শেখের পেটে হাঁসুয়া চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাগ হাসপাতালে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন একজন কংগ্রেস সমর্থক ও একজন তৃণমূল সমর্থক। তাদের প্রথমে নসিপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুর হাসপাতালে।
মৃতের ছেলের অভিযোগ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বাবার ওপর হামলা চালানো হয়। ভোটে বাধা দিতেই এই হামলা হয় বলে অভিযোগ করেছেন মৃতের ছেলে। সংঘর্ষের সময় এলাকায় পুলিশ ছিল না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় খানিকটা সন্তুষ্ট মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হেনা। ঘটনায় শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। যদিও শাসকদলের অভিযোগ কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।