দেশ 

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই নোটবন্দী করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী ; এক সংবাদমাধ্যমের খবরকে ঘিরে নির্বাচনের আগে ফের ইস্যুতে পরিণত হচ্ছে নোটবন্দী , বেকায়দায় বিজেপি-মোদী

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : রাফাল নিয়ে রাহুল গান্ধী বিরোধীদের চৌকিদার চোর হ্যায় শ্লোগানে মোদী যখন বিব্রত ঠিক তখনই নোটবন্দী নিয়ে এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরকে ঘিরে ফের বেকায়দা পড়তে চলেছে মোদী । যা বিজেপিও মোদী কাছে ওয়াটালুর হয়ে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক মহর মনে করছেন । লোকসভা নির্বাচনের আগেই আবার নোট বন্দী ইস্যু সামনে এসে গেল । আর এতে প্রমান পাওয়া যাচ্ছে ভারতে আর্থিক নিয়ামক সংস্থা রির্জাভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনুমতি না নিয়েই নোটবন্দী করা হয়েছিল ।

বিখ্যাত সংবাদপত্র ডেক্কন হেরাল্ড-এর খবর এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ।  রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে আরবিআই বোর্ডের বৈঠক নোটবন্দির ঘোষণার ঠিক আড়াই ঘন্টা আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় হয়েছিল৷ বোর্ডের মতামত পাওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোটবন্দির ঘোষণা করে দেন৷

Advertisement

এই সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী আরটিআই এক্টিভিস্ট ভেঙ্কটেশ নায়ক যে তথ্য তুলে ধরছেন সেই তথ্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা রয়েছে৷ এই তথ্য অনুযায়ী অর্থ দফতরের প্রস্তাবের একাধিক বিষয়ে আরবিআই বোর্ড সহমত ছিল না৷

অর্থ মন্ত্রকের অনুযায়ী ৫০০ এবং১০০০ টাকার নোটে ৭৬% এবং ১০৯% এর দরে বাড়ছিল যেখানে অর্থব্যবস্থা ৩০% এর দরে বাড়ছিল৷ এই বিষয়ে আরবিআই এর মত ছিল মুদ্রাস্ফীতি কে মাথায় রেখে এই অন্তর খুবই কম৷ আরবিআই এর মত ছিল কালো টাকা নগদের থেকে অনেক বেশি সোনা বা সম্পত্তির রুপে রয়েছে৷

আর নোটবন্দির প্রভাব কালো ব্যাবসায় খুবই কম পড়বে বলে মনে করছিল আরবিআই৷ শুধু তাই নয় আরবিআই এর মতে নোটবন্দীর প্রভাব অর্থব্যবস্থার উপর খারাপ প্রভাব পড়বে৷ এই তথ্য সামনে আসার পর আরও একবার নোটবন্দি কে ঘিরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে পারে৷ যেখানে মোদী সরকার নোটবন্দী কে তাদের উপলব্ধি হিসেবে দেখাচ্ছে সেখানেই এবার নোটবন্দি কে ঘিরে মোদী সরকার এবং আরবিআই এর ভিন মতের কথা প্রকাশ্যে আসছে৷

মনে করা হচ্ছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নোটবন্দি এবং জিএসটি এবং রাফাল এই তিনটি ইস্যু হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে বিরোধীরা৷  আরটিআই থেকে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসায় ফের নরেন্দ্র মোদীকে বিরোধীরা যে তীব্র আক্রমণ তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । রাফালের পর ফের নোটবন্দী ইস্যু নতুন করে সামনে আসায় লোকসভা ভোটে মুখে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে বিজেপি ও কংগ্রেসকে ।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ