সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলিকে আচরণবিধি শেখালেন নির্বাচন কমিশন ; অনুব্রত মন্ডলকে ভোট পর্যন্ত গ্রেফতারের দাবি জানাল কংগ্রেস
বাংলার জনরব ডেস্ক : গতকাল ঘোষণা হয়েছে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। এরাজ্যে সাত দফায় ভোটগ্রহণের কথা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সাত দফার ভোট নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কোনও আপত্তি তোলেনি। তবে কিছুটা হলেও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে খবর, আজ রাজনৈতিক দলগুলোকে এবারের নির্বাচনের আচরণবিধির বিষয়টি পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। অনুরোধ করা হবে এই আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য। সূত্র জানাচ্ছে, লিখিত আকারে এই আচরণ বিধি সর্বদল বৈঠকের শুরুতেই দিয়ে দেওয়া হয় সবকটি রাজনৈতিক দলের হাতে।
আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে হয় সর্বদল বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত আছেন রাজ্যে ন’টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সি। বিজেপি-র তরফে জয়প্রকাশ মজুমদার। কংগ্রেসের তরফে দেবব্রত বসু। সিপিএমের তরফে রবিন দেবসহ অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সিপিএমের প্রতিনিধি রাজ্যের বিভিন্ন নরেন্দ্র মোদী , মমতা বন্দ্রোপাধ্যায় সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীদের হোর্ডিং সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করে । কংগ্রেস প্রতিনিধি অবিলম্বে বীরভুম জেলার তৃণমূল সভাপতিকে গ্রেফতার করার দাবি জানান । ভোট চলাকালীন সময়ে তাকে গ্রেফতার করে রাখা হোক বলে কংগ্রেস দাবি করে ।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আজকের বৈঠকে দ্রুত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছেনপারে বলে খবর। একই সঙ্গে নির্বাচনের দিন সীমান্ত সিল করার জন্য আবেদন করা হবে। অন্য রাজ্যের সীমান্ত সিল করার বিষয়েও দাবি তোলা হবে। শান্তিপূর্ণ ভোট করার লক্ষ্যে কমিশনকে প্রতি মুহূর্তে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাবেন বিরোধীরা। কমিশন সূত্রে জানা গেছে , ভোটকে অবাধ শান্তিপূর্ণ ও সমস্ত ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার স্বার্থে সব রকম প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।