বিজয় সংকল্প যাত্রা ঘিরে রাজ্য জুড়ে খন্ডযুদ্ধ বিজেপি কর্মী বনাম পুলিশের
বাংলার জনরব ডেস্ক : উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকার কারণে বিজেপির বিজয় সংকল্প যাত্রাকে পুলিশ অনুমতি দেয়নি । আর এটাকেই হাতিয়ার করে বিজেপি বিজয় সংকল্প যাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে পুলিশ ও বিজেপির কর্মীদের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ বেধে যায় । কোথাও বিজেপি কর্মীদের রক্ত ঝরেছে কোথাও আবার পুলিশ কর্তারা মার খেয়েছেন ।
রবিবার সকালে আগাম ঘোষণা মত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় বাইক র্যালি বের করে। অনুমতি না থাকার অভিযোগে সব জায়গাতেই বাইক র্যালিতে বাধা দেয় পুলিশ। বিজেপির তরফে দাবি, তারা ইমেলে অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল।
বাইক র্যালি ঘিরে ধুন্ধুমার বেধে যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ দুর্গাপুরে বাইক র্যালির সূচনায় ছিলেন দলের সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও পরে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাফ নামানো হয়।
বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে পুলিশের সঙ্গে বচসা বেধে যায় বিজেপি কর্মীদের। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গাও সকল্প যাত্রা তথা বাইক র্যালি ঘিরে উত্তপ্ত। আহত হন ডিএসপি অপারেশন। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোয়ালতোড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। বাইকে র্যালিতে বাধা দানের অভিযোগে খড়দহ থানা ঘেরাও করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।
কলকাতাতেও বাইক র্যালি বের করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। জোড়াবাগান, কাঁকুড়গাছিতে বাইক র্যালি আটকে দেয় পুলিশ। জোড়াবাগান থেকে মায়ের ঘাট যাওয়ার কথা ছিল বাইক র্যালির বাগবাজারে বাইক র্যালি আটকায় পুলিশ।
উল্টোডাঙায় বাইক র্যালিকে তাড়া করে পুলিশ। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের প্রশ্ন সবকটি গাড়ির লাইসেন্স রয়েছে। গাড়ির সওয়ারিদের হাতে রয়েছে জাতীয় পতাকা। সেই পরিস্থিতিতে গাড়িকে বাধা দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলের বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।