প্রতিশ্রতি মতো মইদুলের স্ত্রীকে হোম গার্ডের চাকরি দিল মমতা সরকার
বাংলার জনরব ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন মইদুল ইসলামের পরিবারের কাউকে সরকারি চাকরি দেবেন কথা দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন কাটতে না কাটতেই তা বাস্তবায়ন করলেন মমতা সরকার। মইদুলের স্ত্রীকে হোম গার্ডের চাকরি দেয়া হয়েছে। তার নিয়োগপত্র আজি তার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তাকে স্পেশ্যাল হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। যদিও প্রাথমিকভাবে যে কোনও চাকরি নিতে নারাজ ছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু যে চাকরি তাঁকে দেওয়া হয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন ডিওয়াইএফআই কর্মীর স্ত্রী আলেয়া বিবি।
বাঁকুড়ার কোতুলপুরের চোরকোলা গ্রামের বাসিন্দা মইদুল ইসলাম মিদ্দা। পেশায় অটো-টোটো চালক। দিনপাত করে অটো, টোটো কিনেছিলেন তিনি। সেই গাড়ি চালিয়েই পরিবারের পাঁচ সদস্যের পেট চালাতেন মিদ্দা। সঙ্গে বামপন্থী যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যও ছিলেন। পরিবারে রয়েছেন মিদ্দার মা, স্ত্রী আলেয়া বিবি, দুই সন্তান ও এক ভাগ্নি। তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য।
বাম-যুব সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় এসেছিলেন মইদুল। সেই আন্দোলনে যোগ দিতে এসে প্রাণটাই খোয়াতে হল বছর বত্রিশের তরতাজা যুবককে। তাঁকে হারিয়ে কার্যত পথে বসেছে পরিবার।
মিদ্দার মৃত্যুতে পুলিশের ভূমিকা কতটা, তা নিয়ে তদন্তের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রয়াত যুব নেতার পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তাতে আপ্লুত হয়ে পড়েনি পরিবার। স্বামীকে হারিয়ে দিশাহারা আলেয়া বিবির দাবি ছিল, “অল্প পয়সার চাকরি দিলে চলবে না। পরিবারের সদস্যদের প্রতিপালন করার মতো চাকরি দিতে হবে।” সেই দাবিমতোই আলেয়াকে পুলিশের হোমগার্ডে চাকরি দেওয়া হল। শুক্রবার জেলাশাসক, এসপি এবং মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা কোতুলপুরে মিদ্দার বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন নিয়োগপত্র। সবরকমভাবে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।