জেলা 

মানুষ পরিবর্তন করবেই ; তৃণমূলের বিনাশ হবেই রাজ্যের দুই সভায় মমতাকে তোপ মোদীর

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : উত্তর ২৪ পরগণার ঠাকুরনগরের পর দূর্গাপুরেও মোদী সভায় জনজোয়ার। মানুষের সংখ্যা দেখেই তিনি বলেই ফেললেন  “এত মানুষ। আমি অভিভূত। এবার বুঝতে পারছি দিদি কেন আমায় ভয় পান। এত মানুষের আশীর্বাদ পাই যে।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তর ২৪ পরগণার ঠাকুরনগর ও দূর্গাপুরে সভা করেন । এই দুটি সভাতেই জনাসমাগম ছিল চোখে পড়ার মত । আর মোদীজি এই দুই সভাতেই বেনজির আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন এই সরকারের পতন হবেই ।

Advertisement

এদিন ঠিক দুপুর ২টো ২০-তে মঞ্চে উঠলেন নরেন্দ্র মোদি। পরিষ্কার বাংলায় বললেন, “দুর্গাপুরের পরিশ্রমী মানুষকে আমার নমস্কার।”  ঠাকুরনগর সভার মতই দূর্গাপুরে সমানভাবে  মমতার বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন মোদী।

তিনি বলেন, “গণতন্ত্র স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বাংলায়। এত মানুষের ভিড় দেখে বুঝতে পারছি, কেন দিদি আমায় ভয় পান। এত মানুষ আমায় আশীর্বাদ করে তো। তবে, একটা কথা বলে রাখি, বাংলায় পরিবর্তন আসবেই। মমতা ব্যানার্জিকে ছুড়ে ফেলবে বাংলার মানুষ।”  প্রধানমন্ত্রী বামফ্রন্ট শাসনে মানুষের প্রতি অত্যাচারের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমি ভাবতাম, দিদি হয়তো সিপিএম এর মতো শাসন করবেন না। উনি নিজে অত্যাচারিত হয়েছেন। গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরার চেষ্টা কীভাবে চলত তা উনি ভালো বোঝেন। আমার ভাবনা ভুল ছিল।  সিপিএম-র হিংসা বাংলার মানুষকে থামাতে পারেনি। তৃণমূলের হিংসাও পারবে না। গণতন্ত্রের কথা না ভাবলে ক্ষমতা থেকে যেতেই হবে। মানুষ পরিবর্তন করবেই। তৃণমূলের বিনাশ হবেই।”

মোদি তুলে ধরেন সিন্ডিকেট প্রসঙ্গ। কিছুদিন আগে অমিত শাহ যে ভাষায় শেষ করে গেছিলেন মোদির শুরু যেন সেখান থেকেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সিন্ডিকেটের শেয়ার না পেলে তৃণমূল সরকার কোনও কাজে হাত দেয় না। যে নিজের স্বার্থের জন্য গরিব মানুষকে ধোঁকা দেয়, সে কোনওদিন কারোর ভালো করতে পারে না। সাজা পাওয়া উচিত। বাংলার মানুষের মুখ থেকে মোদির নাম এলেই দিদির ঘুম উড়ে যাচ্ছে। দিদি ভাবলেন আয়ুষ্মান যোজনায় মানুষ সুস্থ হয়ে উঠলে সবাই মোদি মোদি বলবে। তাহলে দিদির কী হবে ? মোদি শব্দ শুনতে চান না বলেই দিদি এত মানুষকে আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধা দিচ্ছেন না।” অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের আমলে ট্রিপল-T চলছে। ট্রিপল-T অর্থাৎ, তৃণমূল তোলাবাজি ট্যাক্স। জন্ম থেকে মৃত্যু ট্রিপল-T চলছে। দেশের চৌকিদার লুট বন্ধ করে দিয়েছে বলে ওদের এত রাগ। দেশের সবথেকে নামজাদা পরিবারও (পড়ুন গান্ধি পরিবার) আজ আদালতের চক্কর কাটছে। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল তাদের খুঁজে খুঁজে দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। হিসেব নেওয়া হবে।”

জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। এপ্রসঙ্গে মোদি বলেন, “আপনাদের চা-ওয়ালা দুর্নীতি বন্ধ করছে। তাই তো কলকাতায় ওরা একজোট হয়েছিল। কারোর ছেলে, ভাই দোষী। কেউ আবার নিজে দোষী। ৪ বছর আগে পর্যন্ত কেউ একে-অপরের চেহারা দেখতে পছন্দ করত না। চিৎকার করে জেলে পাঠানোর কথা বলত। এখন ওরাই একে-অপরকে জড়িয়ে ধরছে। চৌকিদার ওদের পছন্দ নয়।”  বক্তব্যের একেবারে শেষদিকে ফের একবার তৃণমূল সরকারকে ছুড়ে ফেলার ডাক দেন মোদি। চিটফান্ড ইশুও তুলে ধরেন। নাম না করে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “চিটফান্ড-সারদা-ছবি সব এক জায়গায় পৌঁছাচ্ছে। মা-মাটি-মানুষই এই সরকারকে ছুড়ে ফেলবে।”

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

8 − 8 =