ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ও আগামী দিনের অঙ্গীকার …../ অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়
অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায় : ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই দিনটি সর্বদা উল্লেখিত, ভারতবাসী হিসেবে এই দিনটি আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের। ভারতবর্ষ এখন এক পরিণত দেশ তার প্রতিটি স্পর্শে যেমন আছে কোমলতা ঠিক তেমনিভাবে শত্রু কে সে করা হাতে দমন করতে পারে তার নিদর্শন আমরা বিগত দিনগুলিতে দেখতে পেয়েছি, আশা রাখি আগামী দিনেও প্রত্যক্ষ করতে পারবো এই আশা রাখি। বর্তমানে ভারতবর্ষ যে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা অত্যন্ত উলেক্ষ্য একদিকে ভারতবর্ষ সামরিক ভাবে শক্তি বৃদ্ধি করলেও কিছু কিছু জায়গায় ত্রুটি প্রকাশমান মূল্য বৃদ্ধি শিক্ষার হার রাজনৈতিক বৈরিতা এবং ধর্মীয় ভেদাভেদ ভারতবর্ষের চরিত্রকে কিছুটা হলেও কলুষিত করছে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতি যেমন ওয়াকঅফ আইন,SIR ভারত বর্ষের মনে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। নারীধর্ষণ, কর্মসংস্থানের প্রশ্নেও ভারতবর্ষ কে অনেকটা পরিণত হতে হবে। নারীশক্ষা, গবেষণা খাতে বরাদ্দ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও আমরা যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছি, মানুষের মধ্যে দেশের প্রতি কর্তব্য বোধ আজও কম বলেই সমাজবিজ্ঞানিরা মনে করেন তাদের মত অনুযায়ী এটি ভারতবর্ষের একতা কে বিনষ্ট করছে, মনে রাখা দরকার ভারতবর্ষের মূল নীতি “বিবিধের মাঝে দেখ মিলনমহান ”নীতিতে গড়ে ওঠা দেশ তাই এই রাজ্যে রাজ্যে ভেদাভেদ নীতি কোনভাবেই ভারতবাসী মেনে নেবে না। মনে রাখা দরকার আমরা বিস্ব শান্তির বার্তা বাহক তাই ভারতবর্ষ কে অনেকটা দায়িত্ববান হতে হবে। বর্তমানে আমরা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র আমাদের অর্থনীতি, বিদ্যা সমগ্র বিশ্বের কাছে সম্পদ তাই আজকের এই দিনে এই বার্তাই প্রচার করা উচিত –
. “এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না

এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না
এই বিস্তীর্ণ শ্মশান আমার দেশ না
এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না“
এই নীতি যদি আমরা মান্যতা দিতে পারি স্বাধীনতার শতবর্ষের আগে আমরা এক নব রূপে ভারতবর্ষ কে দেখতে পাবো এই আশাই রাখি।

